যার কারণে তিনি আজ সাবিনা ইয়াসমিন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৪৬, আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৩
সাবিনা ইয়াসমিন নাম শোনলেই সঙ্গীত গন্ধ পাওয়া যায়। সেই ষাটের দশক থেকে তার অসাধারণ গায়কীতে বাংলা গান হয়েছে সমৃদ্ধ। ‘দেশ’ ও ‘আধুনিক’এই দুই ধারাতেই তার অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে। সাবিনা ইয়াসমিন এতো জনপ্রিয় হওয়ার পিছনে রয়েছে একজন কিংবন্তীর অবদান। তাই প্রতিনিয়ত তিনি সেই মানুষটিকে স্মরণ করেণ শ্রদ্ধাভরে।
সেই মানুষটির নাম আলতাফ মাহমুদ। যে সুরস্রষ্ঠার হাত ধরে সংগীত জগতে পা রাখেন সাবিনা ইয়াসমিন। এমনটা অন্য কেউ নন, স্বয়ং সাবিনা ইয়াসমিন প্রায়শই বলেন। সুযোগ পেলেই বলেন। এবার তাই পরলোকগত এই গুণী সুরস্রষ্ঠাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত সাবিনা ইয়াসমিন।
সেটা কীভাবে? সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বহুদিনের ইচ্ছে ছিলো আলতাফ ভাইয়ের সুর করা ও আমার গাওয়া গানগুলোকে একত্র করে কিছু একটা করার। বহুদিনের চেষ্টায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে তার সুর করা দশটি গান একসাথে করেছি।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি গানের অ্যালবাম প্রকাশ হবে ইমপ্রেস অডিও ভিশনের ব্যানারে । অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণে আগামি মঙ্গলবার বিকালে গানের সিডি প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন সাবিনা ইয়াসমিন।
আলতাফ মাহমুদের সুর করা দশটি গানের সাথে নিজের আবেগ ও স্মৃতি জড়িয়ে আছে, এমনটা মন্তব্য করে সাবিনা ইয়াসমিন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: আবেগের কথা-ই শুধু নয়, আলতাফ ভাইয়ের সুরে আমার দশটি গান প্রকাশ হতে যাচ্ছে এটা অন্যরকম একটা অনুভূতি আমার কাছে। যে অনুভূতি অন্যকিছুর সাথে তুলনীয় নয়। উনার মতো মানুষের হাত ধরে গানে আমি প্রবেশ করেছি, এটা ভাবলেই নিজেকে অনেক গর্বিত মনে হয়। সেই ১৯৬৭-১৯৬৮ সালের দিকে উনার গান গেয়েছি। উনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, এরপরতো উনি শহীদ হয়ে গেলেন ১৯৭১ সালে।
ব্যক্তিগত কৃতজ্ঞতাবোধের জায়গা থেকে আলতাফ মাহমুদের সুরে নতুন করে গানের অ্যালবাম প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, আলতাফ মাহমুদের সুরই আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। যে কয়েক বছর তার গান গাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, তাতেই আমি ধন্য। বিভিন্ন সিনেমায় তার সুরে গাওয়া আমার গানগুলো নিয়েই এই অ্যালবাম। যার মধ্য দিয়ে আমি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই।
সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সেই ছোটবেলায় আমি বড়দের গান গেয়ে এন্ট্রি নিয়েছিলাম সিনেমার গানে। আলতাফ ভাই সেটার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। বলতে গেলে সংগীত জগতে আলতাফ ভাইয়ের হাত ধরেই আমি পা রেখেছি। প্রথম দিকে একটু স্ট্রাগল করলেও আলতাফ ভাই আমাকে দিয়ে তিন নম্বর গানটা যখন গাওয়ালেন, তখন আর আমাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। গানটির শিরোনাম ‘শুধু গান গেয়েই পরিচয়’। এটা গাওয়ার পরতো একটা ইতিহাস হয়ে গেল। এই গানটিই ছিলো আমার সংগীত জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
১৯৬৭ সাল থেকে আলতাফ মাহমুদ যতোদিন জীবিত ছিলেন, ততোদিন তিনি তার সব ছবিতে সাবিনাকে দিয়ে গান করিয়ে নিয়েছেন। এমনটাও জানালেন সাবিনা ইয়াসমিন। আর সেই গানগুলোর মধ্যে বেছে বেছে দশটি গান নিয়ে এই নতুন অ্যালবাম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা