বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের নির্বাচন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:০৭, আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৯:৪৬
বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বেশ গুরুত্বের সাথে কাভারেজ পাচ্ছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। শীর্ষস্থানীয় সব মিডিয়াই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বসহকারে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
কাতারভিত্তিক টিভি চ্যানেল আল জাজিরার অনলাইন সংস্করণে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, সহিংসতা, পারস্পারিক আস্থাহীনতা ও বিবাদের মধ্যেই রোববার অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশর জাতীয় নির্বাচন। রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির পলিটিক্স অ্যান্ড গভর্নমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. আলি রিয়াজ বিশেষজ্ঞ মতাতম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুটি কারণে বাংলাদেশের এবারের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, কতৃত্ববাদী শাসন থেকে দেশের গতিপথ ঘুরিয়ে দেয়ার সময় এটা। দেশে গণতান্ত্রিক পরিসর ক্রমেই সঙ্কুচিত করে বিরোধীদল দমন, সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ এবং সাধারণভাবেই ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তোলা হয়েছে। আরেকটি কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন দলের পতনের ইতিহাস।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কখনো এমন হয়নি যে, ক্ষমতাসীন দল পুনরায় নির্বাচিত হয়েছে। ২০১৪ কেবল এর ব্যতিক্রম। তবে বিএনপি বয়কট করায় ওটা কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছিল না।’
প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘রক্তক্ষয়ী নির্বাচনী প্রচারের পরও শেখ হাসিনার (৭১) প্রধানমন্ত্রী থাকার পক্ষে পরিস্থিতি অনুকূল রয়েছে। বিরোধীরা চলমান পরিস্থিতিকে দেশটির ৪৭ বছরের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বেশি শ্বাসরুদ্ধকর’বলে উল্লেখ করেছে। নির্বাচন-পূর্ব কয়েক মাসে শেখ হাসিনার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী খালেদা জিয়াসহ বিরোধীপক্ষের অসংখ্য নেতা-কর্মী কারাগারে আছেন কিংবা গুম হয়েছেন। আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ও মুক্তমত প্রকাশের সংগঠনগুলো অভিযোগ তুলেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকাজে বাংলাদেশে যাওয়ার জন্য ভিসা দিতে অপ্রয়োজনীয়ভাবে দেরি করা হচ্ছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশর নির্বাচনের বিভিন্ন সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে একটি রিপোর্টে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর সহিংসতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।
সংবাদমাধ্যটি আরো লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ চায় টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যেতে। অন্যদিকে বিরোধীদের আশা রোববারের নির্বাচনে পরিবর্তন ঘটবে। আওয়ামী লীগ বিগত দশকের অর্থনৈতিক রেকর্ড ভোটারদের সামনে তুলে ধরছে আর বিএনপি বলছে মুক্ত সংবাদ মাধ্যম, মজুরি বৃদ্ধি ও জ্বালানি মূল্যে স্থিতিশীলতার কথা।
রয়টার্সের বরাতে প্রকাশিত আরেক রিপোর্টে বিএনপি নেতা ড. আব্দুল মইন খান বলেছেন, তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোন সভা সমাবেশ করতে পারেননি।
এছাড়াও বিশ্বের প্রায় সব নামিদামী সংবাদ মাধ্যম বাংলাদেশের নির্বাচনী সংবাদগুরুত্বের সাথে প্রকাশ করছে। রয়টার্স, এএফপির মতো বার্তা সংস্থাগুলোও পরিবেশন করছে বিভিন্ন সংবাদ।