২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কথা বললেই তো রাজার সাথে শত্রুতা হয়ে যায় : সুলতানা কামাল

বক্তব্য রাখছেন সুলতানা কামাল - ছবি : নয়া দিগন্ত

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, আমরা এখন প্রজায় পরিণত হয়েছি। তিনি তার পাশে উপবিষ্ট সংসদ সদস্য মইনউদ্দিন খাঁন বাদলকে দেখিয়ে বলেন, উনারা আমাদেরকে কিছু বলতে বলেন। অথচ উনারা সংসদ সদস্য। উনারা জনগণের কথা বলবেন। আমরাই যদি বলতে থাকি তাহলে সংসদ আছে কিসের জন্য। আর সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা নিতে বাদল ভাইদের পারমিশন দেয়া হয়েছে। আমাদের তো কোনো পারমিশনই দেয়া হয়নি। অথচ আমাদের বলা হচ্ছে- তোমরা কারা? আমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছি, যা খুশী তাই করবো। তোমরা কারা? আমরা কথা বললেই তো রাজার সাথে শত্রুতা হয়ে যায়, যারা ফল ভোগ করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

‘যাত্রী অধিকার দিবস’ ঘোষণা ও এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নিজে ও পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিভাবে অংশ নেয়ার কথা তুলে ধরে সুলতানা কামাল বলেন, সরকার, মালিক, শ্রমিক বা পথচারী কেউ নিজ দায়িত্বের কথা স্বীকার করেন না। সবাই এড়িয়ে যান। এ দায়িত্ব এড়ানোর কারণ হচ্ছে দেশে সুশাসনের অভাব। দায়িত্বশীলরা যে দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন তার কারণ হচ্ছে সুশাসনের অভাব।

সড়কের বিভিন্ন নৈরাজ্য অব্যবস্থার কথা তুলে ধরে সুলতানা কামাল বলেন, যারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তারা একেবারে সাধারণ মানুষ। যারা রাস্তায় চলাচলে বিভিন্ন ধরণের নিরাপত্তা পান তাদের তো সড়কে প্রাণ দিতে হয় না। তারা অনেক নিরাপদেই রাস্তা পার হন। আর সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে এধরণের আলোচনার আয়োজন করা হয়। আসলে এসবই আলোচনা হচ্ছে নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে।

তিনি ১৩ সেপ্টেম্বরকে যাত্রী অধিকার দিবস ঘোষণার উদ্যোগে সংহতি জানান। এর পাশাপাশি এর সাথে সাথে সংহতি জানান। বলেন, যাত্রী অধিকারকে নাগরিক অধিকার ও মর্যাদার সাথে যুক্ত করেই কথা বলতে হবে।

দেশ সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের মতো উন্নতির খবর শুনে গর্ববোধ করার কথা জানান তিনি। তবে তিনি বলেন, হংকংয়ের পরিবহন ব্যবস্থা তো অনেক উন্নত। তিনি সড়কে নিরাপদ করতে গিয়ে বাদলের কাছে জানতে চান রাজনীতিকে তারা কোথায় নিয়ে গেছেন? তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মানুষের রাজনীতি করে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী এ আওয়ামী মানুষের সাথে অনেক সম্পৃক্ত। তবে সড়ক নিরাপদে আনতে তারা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মইনউদ্দিন খাঁন বাদল এমপি, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবু সাঈদ খাঁন, ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসেন আহমদ মজুমদার, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ। সভাপতিত্ব করেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।


আরো সংবাদ



premium cement