২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা শিগগিরই কবরে যাবে : ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী

-

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথিত ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর সেরা চুক্তিকে এরই মধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে নির্যাতিত রাষ্ট্র ফিলিস্তিন। যার ধারাবাহিকতায় এবার ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাকে কবরে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ এশতায়িহ।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিয়ে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি মন্তব্যটি করেন। ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রস্তাবটি কোনো মধ্যস্থতাকারীর পক্ষ থেকে উত্থাপিত পরিকল্পনা নয়। বরং এটি ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি দ্বিপক্ষীয় সমঝোতা। কাজেই ফিলিস্তিনিরা এটা মানতে কখনোই বাধ্য নয়। তিনি আরো বলেন, গোটা বিশ্ব দ্রুতই ট্রাম্পের কথিত শান্তি পরিকল্পনার কবর রচিত হতে দেখবে। কেননা ইহুদি ও মার্কিনিদের ষড়যন্ত্র নির্যাতিত ফিলিস্তিনিরা কখনোই মেনে নিবে না।
এর আগে চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলকে সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটির প্রকাশ্য সমর্থন করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র সৌদি আরব। বিশ্লেষকদের মতে, ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী এমন সময় বিষয়টি নিয়ে হুঁশিয়ারিটি দিলেন যখন ‘শতাব্দীর সেরা চুক্তি’ নামে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনাকে অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর মাধ্যমে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে অবৈধভাবে ইসরাইল নামক একটি কৃত্রিম রাষ্ট্র গঠন করা হয়েছে। গত ২৮ জানুয়ারি ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর সেরা চুক্তি নামে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক জেরুসালেম শহরকে ইসরাইলি ভূখণ্ড হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া কেন্দ্রীয় শহর জেরুসালেমের বাইরের আবু দিস নামে ছোট একটি গ্রামকে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের সেই পরিকল্পনায় জর্দান নদীর পশ্চিম তীরের অংশবিশেষ ও গাজা উপত্যকা নিয়ে নামমাত্র একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে। যে রাষ্ট্রের নিজস্ব কোনো সামরিক বাহিনী থাকবে না।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement