বাজেটে জলবায়ু অর্থায়নে অবহেলা সরকারের
সেমিনারে অভিমত- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৩ জুন ২০১৯, ০০:০০
নাগরিকসমাজ, জলবায়ু ক্যাম্পেইন সংগঠনগুলো এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সরকারের প্রস্তাবিত জলবায়ু অর্থায়নের সমালোচনা করেছেন। তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার চাহিদা অনুযায়ী বাজেট বরাদ্দ না দিয়ে জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়টিকে অবহেলা করছেন।
‘জাতীয় বাজেট ২০১৯-২০ এবং জলবায়ু অর্থায়ন : উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা অর্জনে অগ্রাধিকারভিত্তিক বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এ অভিযোগ করেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জাফর আলম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী। কোস্ট ট্রাস্টের মোস্তফা কামাল আকন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইকুইটিবিডির সৈয়দ আমিনুল হক। এ ছাড়াও বক্তৃতা করেন ফেডারেশন অব এনজিওসের পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম, পরিবেশ কর্মী এবং নিউ এজের কক্সবাজার প্রতিনিধি নূরুল ইসলাম, স্থায়িত্বশীল গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য প্রচারাভিযানের প্রদীপ কুমার রায়।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, এর ফলে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর বিপদাপন্নতা বাড়বে বৈ কমবে না। বক্তারা উপকূলীয় সুরক্ষায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে জলবায়ু পরিবর্তন মোকবেলা সক্ষম অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য অধিকতর বাজেট বরাদ্দের দাবি জানান। তারা জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের জন্য বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করার দাবি এবং এই ট্রাস্ট ফান্ডকে গাতিশীল ও অধিকতর কার্যকর করার নিমিত্তে নীতিমালা পুনঃপর্যালোচনার আহ্বান জানান।
অপর দিকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে সৈয়দ আমিনুল হক বলেন, সরকার জলবায়ু অর্থায়নের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে নিয়ে এসেছে, এটি একটি ভালো উদ্যোগ কিন্তু জলবায়ু বিপদাপন্নতা বিবেচনায় পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি। তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে মাত্র ২৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (মোট বাজেটের ৪.৫%) বরাদ্দকে খুবই অপ্রতুল অভিহিত করেন। তিনি পাঁচটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেন : প্রস্তাবিত জলবায়ু বাজেট বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্র্যাটেজি এবং অ্যাকশন প্ল্যান ২০০৯ এর আলোকে সংশোধন করতে হবে এবং জিডিপির অন্তত ২ শতাংশ বরাদ্দ করতে হবে। উপকূলীয় জেলাগুলোর বিপন্নতা বিবেচনা করে বিশেষ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ু সুরক্ষা অবকাঠামো যেমন বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ করতে হবে, পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ এবং নীতি সংশোধনের মাধ্যমে বিসিসিটিএফ কার্যক্রম শক্তিশালী করতে হবে। বাজেট বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করার জন্য উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষ এবং সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা