২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`

চার দশক ধরে মহাকাশে ঘুরছে যারা

চার দশক ধরে মহাকাশে ঘুরছে যারা - ছবি: সংগৃহীত

১৯৭৭ সালের ২০ আগস্ট ভয়েজার ২ মহাকাশযানকে মহাকাশে পাঠায় নাসা৷ সেটির যাত্রা এখনো চলছে৷ সেবছরেরই পাঁচ সেপ্টেম্বর ভয়েজার ১ একইভাবে মহাকাশে যাত্রা করে৷ এই দুই মহাকাশযানের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বৃহস্পতি এবং শনিগ্রহণ সম্পর্কে যতটা সম্ভব্য তথ্য সংগ্রহ করা৷ তাদের যাত্রার শুরুর সময় অবধি গ্রহ দু’টো সম্পর্কে তেমন একটা জানা যায়নি৷ মহাকাশযান দু’টোতে দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার উপযোগী প্লুটোনিয়াম ব্যাটারি রয়েছে৷

পৃথিবীতে একেকটি ভয়েজারের ওজন ছিল ৮২৫ কেজি করে৷ নাসা এখন অবধি মহাকাশকেন্দ্রিক যে সব সাফল্য অর্জন করেছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম এই ভয়েজার অভিযান৷ সে দু’টি এখনো মহাকাশ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাঠাচ্ছে৷ পৃথিবী থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাওয়া যন্ত্র দু’টির সঙ্গে ২০৩০ সাল অবধি রেডিও যোগাযোগ অব্যাহত রাখার আশা করছে নাসা৷

২০১২ সালের ২৫ আগস্ট ভয়েজার ১ আমাদের সৌরজগতের একটি সীমানা ‘হিলিওপস’ অতিক্রম করে আকাশগঙ্গা ছায়াপথে পৌঁছে গেছে৷ এটি হচ্ছে মানুষের তৈরি একমাত্র যন্ত্র যা পৃথিবী থেকে বর্তমানে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করছে৷

ভয়েজার ১-এর মতো ভয়েজার ২-ও সৌরজগতের একটি সীমানার বাইরে চলে গেছে৷ ২০১৮ সালের পাঁচ নভেম্বর এই যানটি ‘ইন্টার্স্টেলার স্পেসে’ প্রবেশ করে৷ এই যানে পাঠানো তথ্য অতীতের বিভিন্ন ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে৷

সৌরজগতের বিভিন্ন সীমানা রয়েছে৷ প্রথমটি হচ্ছে ‘টার্মিনেশন শক৷’ সেখানে সৌর বাতাস নাটকীয়ভাবে কমে যায়৷ ‘হিলিওস্পেয়ার’ এর পরে ‘হিলিওপস’ এর অবস্থান৷ আর এটি হচ্ছে ‘স্পেস বাবল’ এর কিনারা যেখানে সৌর শিখা ‘ইন্টারস্টেলার’ রশ্মি থেকে আমাদের রক্ষা করে৷ এখন অবধি ধারণা ছিল যে বাতাস ক্রমশ কমতে থাকে৷

তবে দুই মহাকাশযানের তুলনামূলক পরিমাপ আমাদের জানাচ্ছে যে আমাদের সৌরজগতের অভ্যন্তরে একটি স্পষ্ট সীমান্ত রয়েছে৷ ‘ইন্টারস্টেলার মিডিয়াম’-এর তাপমাত্রাও আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি৷

‘ইন্টারস্টেলার’ বিষয়ক নানা উদ্ঘাটন ছাড়াও মহাকাশযান দু’টি আরো অনেক বিষয়ে তথ্য জানিয়েছে৷ ১৯৭৯ সালের পহেলা জানুয়ারি বৃহস্পতি গ্রহের ছবি পাঠায় ভয়েজার ১৷ যানটি গ্রহটি এবং সেটির চার চাঁদের মোট ১৭,৪৭৭টি ছবি পাঠিয়েছে৷ বৃহস্পতি গ্রহের চারপাশ ঘিরে যে পাতলা বৃত্ত রয়েছে, তার অস্তিত্ব এই ছবির মাধ্যমেই আমরা জেনেছি৷ বৃহস্পতিগ্রহ পার হওয়ার পর ভয়েজার ১ সেকেন্ডে ১৬ কিলোমিটার গতিতে পৌঁছায়৷

ভয়েজার ২ শনি গ্রহের এই রঙ্গিন ছবিটি পৃথিবীতে পাঠিয়েছে৷ ১৯৮১ সালে মহাকাশযানটি আমাদের সৌরশক্তির ষষ্ঠ গ্রহের কাছে পৌঁছায়৷ শনি গ্রহের ২১ মিলিয়ন কিলোমিটার দূর থেকে এই ছবিটি তোলা হয়েছে৷

মহাকাশযান দু’টিকে ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাডিনা শহরের নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র থেকে পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়৷ নিয়ন্ত্রণকেন্দ্রের এই ছবিটি ১৯৮০ সালে তোলা৷ বর্তমানে অবশ্য নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র অনেক আধুনিক করা হয়েছে৷

মহাকাশযান দু’টি যদি তাদের অন্তহীন যাত্রাপথে কোন প্রাণের সন্ধান পায়, তাহলে সেটিকে পৃথিবী সম্পর্কে ধারণা দিতে সক্ষম হবে৷ যান দু’টিতে রয়েছে এরকম কিছু উজ্জ্বল সোনালি ডিস্ক, যাতে পৃথিবীর ছবি এবং মানুষ, জীবজন্তু এ প্রকৃতির শব্দ রেকর্ড করা রয়েছে৷ এমনকি এগুলো বাজানোর ব্যবস্থাও রয়েছে ভয়েজার দু’টিতে৷(সূত্র: ডয়সে ভেলে)


আরো সংবাদ



premium cement
বেস্ট রেটেড ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ পেলো এক্সিম ব্যাংক শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানী করলে কোনো ছাড় নয় : আ্যাটর্নি জেনারেল বর্তমান ও সাবেক ক্যাডেটদের দেশসেবায় আত্মনিয়োগের অনুরোধ সেনাপ্রধানের আবারো বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষা দেবেন সাকিব ঢাবিতে শহীদ দিবস উপলক্ষে সম্মিলিত নারী প্রয়াসের আলোচনা সভা ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে ইবিতে মানববন্ধন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে দেয়া হবে না : জয়নুল আবেদীন বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে : ভিসি ড. আমানুল্লাহ বিচার বিভাগ সংস্কার কার্যক্রমে একটি অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছে : প্রধান বিচারপতি এ বছরের মধ্যেই নির্বাচন শেষ করুন : মাহবুব উদ্দিন খোকন ইংল্যান্ডের রেকর্ড সংগ্রহ, বড় চ্যালেঞ্জের মুখে অস্ট্রেলিয়া

সকল