ত্রিশ টাকার ময়লার বিল ২০০ টাকা, আরো বাড়ানোর দাবি
- অনলাইন প্রতিদেক
- ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:০৮, আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৪৮
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে বাসাবাড়ি ও রেস্তোরার বর্জ্য অপসারণের জন্য ৩০ টাকার বিল ২০০ টাকা দিয়ে আসলেও নির্বাচনের পর তা আরো বাড়ানোর অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। তবে কোনো কাজের সেবামূল্য বাড়োনো হয়নি দাবি করে একাধিক মেয়র-কাউন্সিলর। কেউ বাড়তি টাকা চাইলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন তারা।
জানা যায়, ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ময়লা বা বর্জ্য অপসারণের জন্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এলাকা ও ওয়ার্ড ভেদে কোনো রকম রশিদ ছাড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা আদায় করা হয়। নির্বাচন যেতে না যেতেই এক শ্রেণির অসাধু চক্র বর্জ্য অপসারণের জন্য বাড়তি টাকা দাবি করছেন। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হচ্ছে।
রাজধানীর ধানমন্ডির কাঠাল বাগান এলাকার বাসিন্দা রুমা আক্তার জানান, মঙ্গলবার সকালে বর্জ্য সংগ্রহ করতে আসা লোকটি চলতি মাসে বাড়তি ৪০ টাকা বেশি দিতে হবে জানান। কেন বেশি টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে সিটি কর্পোরেশন থেকে বাড়ানো হয়েছে দাবি করে তারাও বাড়তি টাকা নিচ্ছেন বলে জানান।
একই এলাকার অপর এক বাসিন্দা মো: তুহিন জানান, সিটি কর্পোরেশন থেকে বর্জ্য সংগ্রহের নির্ধারিত ফি ৩০ টাকা হলেও সংগ্রহকারিরা তা বাড়িয়ে র্দীঘদিন থেকে ২০০ টাকা করে প্রতিটি বাসাবাড়ি ও ফ্ল্যাট থেকে আদায় করছেন। এখন নতুন করে সিটি নির্বাচন হওয়াতে তারা আবার বাড়ানোর কথা বলছে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা এখন পর্যন্ত শপথ নেননি। এরই মধ্যে নানা অজুহাত দেখিয়ে ময়লা সংগ্রহের ফি আরো ৪০ টাকা বাড়ানোর কথা বলছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর যদি ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তাহলে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে।
জানতে চাইলে কাঠাল বাগান এলাকার কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাবুল জানান, আমরা নির্বাচিত হই জনসাধারণের সেবা করার জন্য। মাঝে যদি কেউ বাঁধা হয়ে আসে তাহলে তাকে প্রতিহত করা হবে। তিনি বলেন, আমারা এখনো নতুন করে শপথ নেইনি। এরই মধ্যে কিছু চক্র নানা ফন্দি ফিকির শুরু করেছে। যদি কেউ কোন বাড়তি টাকা দাবি করে সাথে সাথে আমাকে জানাবেন। প্রয়োজনে তাকে আটক করে পুলিশে দিবেন।
এদিকে নির্বাচনের পর একটি অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দোকান ভাড়াসহ সেবাদানের কোন বিল বা ভাড়া বাড়ানো হবে না।