থাইল্যান্ডের অনুশীলনই বক্সিংয়ে ভরসা
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ
- ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:৫৫
বিশ্ব বিখ্যাত বক্সার মোহাম্মদ আলী বাংলাদেশে আসেন। তার নামে যে বক্সিং রিং সেখানে নিত্য অনুশীলন বাংলাদেশ বক্সিং দলের। সে রিংয়ে অনুশীলন করেই সাফ গেমসে স্বর্ণ জয় মোশাররফ হোসেন ও মোজাম্মেল হকের। পরে ২০১০ সালে আবার স্বর্ণ পদক গলায় দেয়া আবদুর রহিম ও জুয়েল আহমেদ জনির।
যদিও ২০১৬ সালে স্বর্ণ তো দূরের কথা রৌপ্য পদকও জেতা হয়নি লাল-সবুজ জার্সিধারী কোনো বক্সারের। পুরুষ আর মহিলা মিলে তিনটি ব্রোঞ্জ গলায় তোলা। এবারো বাংলাদেশ বক্সিং দল স্বপ্ন দেখছে এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের। এ লক্ষ্যেই ৪ ডিসেম্বর নেপাল গেছে বাংলাদেশ দল। ৬-৯ ডিসেম্বর তাদের রিংয়ের লড়াই। বহরে পুরুষ বক্সার সাতজন, মহিলা দুই।
সাফ গেমস আর এসএ গেমসে বক্সিংয়ে বাংলাদেশের চারটি স্বর্ণের সব ক’টিই জেতা হয়েছে ঢাকায় অনুষ্ঠিত গেমসে। ১৯৮৫তে বক্সার মোশাররফ হোসেন, ১৯৯৩ সালে মোজাম্মেল হক এবং ২০১০ সালে আবদুর রহিম ও জুয়েল আহমেদ জনি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর উপলক্ষ তৈরি করেন।
এবারো আবদুর রহিমকে ঘিরে বাংলাদেশের আশা। সাথে আরিফুল ইসলাম ও রবিন মিয়াও দেশকে এনে দেবেন স্বর্ণ, এমনটাই প্রত্যাশা। আবদুর রহিম ২০১০ সালে ৬৪ কেজিতে স্বর্ণ জয় করেন। এবার তিনি লড়বেন ৬৯ কেজিতে। আরিফুলের ইভেন্ট ৫২ কেজি। তাদের অভিজ্ঞতার সাথে যোগ হয়েছে থাইল্যান্ডের বক্সিং অ্যাকাডেমিতে দেড় মাসের অনুশীলন। বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশনের সিইও জহির চৌধুরী জানান, থাইল্যান্ডের ওই অনুশীলন বক্সারদের ফিটনেস যেমন বাড়িয়েছে তেমনি আত্মবিশ্বাসও। তারা সেখানে থাইল্যান্ড, লাওস ও কম্বোডিয়ার বক্সারদের বিপক্ষে লড়েছে। এ ছাড়া সেখানে তাদের খাদ্যাভ্যাসও বদল করা হয়। একেবারে ঝাল আর মসলা ছাড়া খাদ্য। এটা বেশ ইতিবাচক বক্সারদের জন্য। এই প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হয় ১৮ লাখ টাকা- তথ্য দেন জহির। তার মতে, এই ট্রেনিং যদি আরো দুই মাস করানো যেত তাহলে খুবই ভালো হতো।
থাইল্যান্ডের অ্যাকাডেমিতে কিউবা ও থাইল্যান্ডের কোচরা প্রশিক্ষণ দেন রহিম, রবিন, আরিফদের। তাদের সাথে তিন বাংলাদেশী কোচ সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমেদ, মাসুদ ও নাদিমকে পাঠানো হলেও তাদের দিয়ে ট্রেনিং করানো হয়নি। এবার দলের সাথে কোচ হিসেবে যাচ্ছেন সৈয়দ মহিউদ্দিন আহমেদ, কাজী সাহাদাত হোসেন ও শফিউল আজম। আর বক্সাররা হলেন, আবদুর রহিম, সজীব হোসেন, আরিফুল ইসলাম, রবিন মিয়া, সুর কৃষ্ণ চাকমা, আল আমিন, আরিফ হোসেন। দুই মহিলা বক্সার হলেন শামীমা আক্তার ও অনিতা ইসলাম। শামীমা গত এসএ গেমসে ব্রোঞ্জ জয় করেন ভারতের মাটিতে।
পুরুষ বক্সারদের মধ্যে সুর কৃষ্ণ চাকমা বেশ কিছু দিন ছিলেন ইংল্যান্ডে। ইংল্যান্ড প্রবাসী আলী জ্যাকো তাকে পেশাদার বক্সার বানান; কিন্তু অ্যামেচার বক্সিংয়ের সাথে পেশাদার বক্সিংয়ের তফাৎ অনেক। জহির চৌধুরীর মতে, পেশাদার বক্সিং বেশ ধীরগতির। কিন্তু অ্যামেচার বক্সিংয়ে ঘুষি মারতে হয় ঝড়ের গতিতে। এই জায়গাতেই পিছিয়ে সুর কৃষ্ণ। তা ছাড়া পেশাদার বক্সিং ১০ রাউন্ডের। অ্যামেচার বক্সিং তিন রাউন্ডের। এরপরও এই বক্সারদের থাইল্যান্ডের অনুশীলনের পারফরম্যান্স বেশ উদ্বুদ্ধ করছে।
কারণ তারা সেখানে থাই বক্সারকে হারিয়েছে। বক্সিংয়ে ভারত খুব ভালো। সাথে পাকিস্তানের বক্সাররাও আছেন। অতীতে বাংলাদেশের যত স্বপ্ন ভঙ্গ এই দুই দেশের বক্সারদের কাছে হেরেই। তবে এবার থাইল্যান্ড সফরে আসিয়ান অঞ্চলের বক্সারদের সাথে লড়াই করে ভয়টা দূর হয়ে গেছে লালসবুজ বক্সারদের। জানান জহির।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা