২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শনিবার জাতীয় আয়কর দিবস

করদাতাদের কর সংক্রান্ত ওয়ানস্টপ সেবা এবং ঝামেলামুক্ত পরিবেশে আয়কর রির্টান জমার সুযোগ করে দিতে ১৪-২০ নভেম্বর আয়োজন করা হয় জাতীয় আয়কর মেলা - সংগৃহীত

আয়কর বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং মানুষকে নিয়মিত করদানে উৎসাহিত করতে শনিবার দেশব্যাপী পালিত হবে জাতীয় আয়কর দিবস-২০১৯। ‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’- স্লোগানকে সামনে রেখে এ বছর দিবসটির নির্ধারিত প্রতিপাদ্য হলো ‘কর প্রদানে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, নিশ্চিত হোক রূপকল্প বাস্তবায়ন’।

দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সব বিভাগীয় শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, পৃথিবীর সব উন্নত রাষ্ট্রের প্রধান রাজস্ব উৎস হিসেবে বিবেচিত হয় প্রত্যক্ষ কর বা আয়কর। বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২১ এবং রূপকল্প ২০৪১ এর পথ ধরে সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে বাস্তবায়িত হচ্ছে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও পায়রা সমুদ্রবন্দরের মতো মেগা প্রকল্প। এসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের যথাযথ বাস্তবায়নে দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। এ ক্ষেত্রে আয়কর প্রদানকারীর সংখ্যা এবং আয়কর খাতে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি।

আয়কর কেবল রাজস্ব আহরণের প্রধান খাত নয়, ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য দূরীকরণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও একটি কার্যকরী মাধ্যম বলে মন্তব্য করেন তিনি।

‘দেশের উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদের পর্যাপ্ত যোগান অপরিহার্য। মুক্তবাজার অর্থনীতির এ যুগে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের উৎস হিসেবে আয়করের গুরুত্ব প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আয়কর সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়কর বিভাগ জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপন, আয়কর মেলা ও আয়কর সপ্তাহ আয়োজনসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে আয়কর নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি দেশে কর সংস্কৃতির লালন ও বিকাশ ত্বরান্বিত হবে- এ প্রত্যাশা করি,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, কর আহরণের মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা নিশ্চিত করা কর বিভাগের প্রধান কাজ।

তিনি জানান, এনবিআর ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাষ্ট্রের রাজস্ব ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। কর প্রদানে দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এনবিআরের বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক কর্মসূচি গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়েছে।

ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে করদাতাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সহজ ও গতিশীল (ওয়ানস্টপ) করসেবা প্রদানের মাধ্যমে ১৪-২০ নভেম্বর আয়কর মেলা-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বছর আয়কর মেলায় করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও অভূতপূর্ব সাড়া কর আহরণের ক্ষেত্রে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। সাত দিনে রেকর্ড পরিমাণ আয়কর আহরিত হয়েছে। এ জন্য আমি সম্মানিত করদাতা ও নাগরিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

এনবিআর জানিয়েছে, এ বছর মেলা থেকে তারা ৩৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩৪ টাকা আয়কর হিসেবে সংগ্রহ করেছে। সেই সাথে সংস্থাটি তিন ক্যাটাগরিতে ১৪১ জন করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি কর প্রদানের ভিত্তিতে ৫১৮ জন করদাতাকে সম্মাননা সনদ দিয়েছে। সূত্র : ইউএনবি।


আরো সংবাদ



premium cement