০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কাছে সরকারের নতি স্বীকার আদালত অবমাননা : টিআইবি

- সংগৃহীত

বহুল প্রতীক্ষিত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ এর বাস্তবায়নের পূর্বেই সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া ও চাপের মুখে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগের সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয় মালিক-শ্রমিক সংগঠনের চাপে সড়ক পরিবহন আইন ভঙ্গের জন্য সাজার মেয়াদ কমানোসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও জনবিরোধী। তাই আইনের সংশোধনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় টিআইবি। সংস্থাটি মনে করে ন্যায়বিচার, সুশাসন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপন্থী এই উদ্যোগ। আর তাই এ ধরণের উদ্যোগ প্রতিহত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার গণমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন,‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া ও চাপে সরকার যদি নতি স্বীকার করে তা হবে আদালত অবমাননা ও জনস্বার্থের পরিপন্থী। বিশেষ করে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক গঠিত কমিটির বৈঠকে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থাপনকৃত দাবিদাওয়া সড়ক পরিবহন আইন ভঙ্গের জন্য সাজার মেয়াদ কমানোর দাবিটি সরাসরি সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের সাথে সাংঘর্ষিক। এছাড়া আইনের সকল ধারা জামিনযোগ্য করাসহ অর্থদণ্ড হ্রাস করা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করা, ইত্যাদি অধিকাংশ দাবিদাওয়া সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় সুশাসন, ন্যায়বিচার, জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কোনোভাবেই সহায়ক হবে না।’

ড. জামান আরো বলেন,‘পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের এ সংক্রান্ত আইনের সাথে তুলনামূলক পর্যালোচনা ও সামঞ্জস্যের যুক্তি উল্লেখ করা হলেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপে প্রভাবিত হয়েই যে আইনটিকে দুর্বল করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তা সহজেই বোধগম্য। স্বার্থের সংঘাতে জর্জরিত জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদই ষড়যন্ত্রের কাছে নতজানু হয়ে একদিকে সড়ক পরিবহনের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা ও নৈরাজ্যের সুরক্ষার পথ অবলম্বন করছে ও অন্যদিকে বিশ্বনন্দিত নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদর দাবিকে অবজ্ঞা করার চরম নিষ্ঠুর দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।’

সড়ক ব্যবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চলা নৈরাজ্যের মুখে গত বছরের মাঝামাঝি নিরাপদ সড়কসহ সড়ক পরিবহন খাতে জবাবদিহি, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের দাবিতে শিশু-কিশোর ও তরুণ শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনের মুখে সরকার ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ পাশ করলেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের বাধার মুখে তা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। একইসাথে, পরিবহন মালিক-শ্রমিক পক্ষ আইনটির বিরোধিতা করে তা বাতিলের দাবিতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন উল্লেখ করে ড. জামান বলেন,‘এ পর্যায়ে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আইনটির উল্লেখিত পরিবর্তন এ খাতে নৈরাজ্য নিরসনে গৃহীত সকল অগ্রগতিকেই হুমকির মুখে ফেলে দেবে। তাই আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের নতি স্বীকার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’

একইসাথে, সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় সুশাসন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে ও দুর্ঘটনারোধে প্রধানমন্ত্রীর ছয় নির্দেশনার আলোকে, আইনটির যথাযথ বাস্তবায়নে অনতিবিলম্বে এর বিধিমালা প্রণয়ন এবং তরুণ প্রজন্মসহ সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে সম্পৃক্ত করে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।


আরো সংবাদ



premium cement
দিল্লি জামে মসজিদ নিয়ে হিন্দুসেনার দাবি কক্সবাজার সৈকতে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের তৈরি রোবট দানব যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান গ্রেফতার সাভারে দাফন করা ব্যক্তিই হারিছ চৌধুরী তদন্ত প্রতিবেদনসহ আমু-কামরুলকে ১৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেশের ৬৯ কারাগারের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৭ : কারা মহাপরিদর্শক আমরা হিন্দু-মুসলমান একসাথে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করে দেবো : রিজভী আজমির শরিফ : খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগাহের ইতিহাস জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও আমেরিকার বাকবিতণ্ডা ‘শেখ হাসিনা সরকার সবকিছু ধ্বংস করে গেছে’ পুলিশের ওপর হামলার মামলায় ১২ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর

সকল