এখনো জ্ঞান ফিরেনি কিশোর শাহীনের
- মোর্শেদ মুকুল
- ০১ জুলাই ২০১৯, ১২:৩২, আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯, ১৯:২২
অপারেশনের পর শাহীনের এখনো জ্ঞান ফিরেনি। তবে অক্সিজেন লাগানো অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিচ্ছে। সকাল ১০টার দিকে একবার হাত ও পা নেড়েছে। সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউ এর সামনে কথাগুলো বলছিলেন, চাচা মনসুর আলী।
তিনি জানান, আজ একটি সিটিস্ক্যান হওয়ার কথা রয়েছে। সেই রিপোর্ট নিয়ে আবার মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা সিন্ধান্ত জানাবেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন শাহিনকে দেখতে গিয়ে জানিয়েছেন, শাহীনের চিকিৎসার দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন।
ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দীন বলেন, শাহীনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। শনিবার রাতে মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তে রাখা হয়েছে। তার জ্ঞান ফিরেনি।
তিনি বলেন, হাসপাতালের পক্ষ থেকেই শাহীনের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার চিকিৎসার জন্য এরই মধ্যে নিউরোসার্জারির বিভাগীয় প্রধানকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকেও সার্বক্ষণিক শাহীনের চিকিৎসার খোঁজ নেয়া হচ্ছে।
এর আগে গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া কৃঞ্চনগর গ্রামের আমজামতলায় যাত্রীবেশে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা শাহীনকে (১৪) কুপিয়ে তার ইঞ্চিনচালিত ভ্যানটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। সে কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের হায়দার মোড়লের ছেলে। শাহীনকে ধানদিয়ায় যাওয়ার কথা বলে ৩ থেকে ৪ জন যুবক তার ইঞ্জিন চালিত ভ্যান ভাড়া করে নিয়ে যায়। ধানদিয়া কৃঞ্চনগর আমজামতলা নামক স্থানে পৌছানোর পর শাহীনকে কুপিয়ে আহত করে অজ্ঞান অবস্থায় তারা ফেলে রেখে ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে পথচারিরা বুঝতে পেরে শাহীনকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবণতি হলে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়। তাকে এখন আইসিইউ এর ১৬ নম্বর বেডে রাখা হয়েছে।
ধাননিয়া ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার রমেশ চন্দ্র সাংবাদিকদের জানান, আমজামতলা নামক স্থান থেকে শাহীনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা তার মাথায় চারটি কোপ দিয়ে মৃত ভেবে রাস্তার ধারে একটি গর্তের মধ্যে ফেলে রেখে যায়।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলম জানান, শাহীনের উপর হামলার ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশ কাজ করছে। তার বাবা হায়দার মোড়ল বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শাহীনের বাবা হায়দার মোড়ল জানান, তাদের সম্পদ বলতে বসতভিটে। কিছু দিন আগে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তিনি ভ্যানটি কিনেছেন। বাবা-ছেলে মিলে ওই ভ্যানটি চালিয়ে সংসার চালাতেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা