৫ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছিল ইরান!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জানুয়ারি ২০২০, ০৫:৫৮
ইরাকে দু'টি মার্কিন ঘাঁটিতে হামলায় ইরান 'ফতেহ-৩১৩' এবং 'কিয়াম' ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। 'ফতেহ' শব্দের অর্থ হচ্ছে বিজয়ী ও 'কিয়াম' মানে জাগরণ। 'ফতেহ-৩১৩' ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা পাঁচ শ' কিলোমিটার আর 'কিয়াম'-এর পাল্লা সাত শ' কিলোমিটার। ইরানের আইআরজিসি'র অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলী হাজিযাদেহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা ইরাকে অবস্থিত দু'টি মার্কিন ঘাঁটিতে ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র মেরেছি, তবে আমরা প্রথম কয়েক ঘণ্টায় কয়েক শ' ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম উভয় পক্ষ সংযম না দেখালে যুদ্ধ সীমিত পর্যায়ে তিন দিন থেকে এক সপ্তাহ চলবে। এ জন্য আমরা কয়েক হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রেখেছিলাম।'
অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান জানান, মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ১৫ মিনিট পর ইলেকট্রনিক যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। এর ফলে আমেরিকার ড্রোন ও বিমানগুলো কয়েক মুহূর্তের জন্য নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। আর এ ঘটনায় মার্কিন সেনাদের মনোবল ভেঙে যায় এবং হতবিহ্বল হয়ে পড়ে। ইরানের হামলায় আমেরিকার 'আইন আল আসাদ' ঘাঁটির কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
হাজিযাদেহ বলেন, 'মার্কিন বাহিনী সতর্ক ছিল, তারা হামলার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন ছিল। এ কারণে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আগ পর্যন্ত আমেরিকার ১২টি বিমান ও ড্রোন সব সময় ইরাকের আকাশে নানা তৎপরতা চালাচ্ছিল। তারা আমাদের চপেটাঘাতের অপেক্ষায় ছিল। থাপ্পড় খাওয়ার পর তারা কিছুটা শান্ত হয়েছে।'
সূত্র : পার্স টুডে