হোলে আর্টিজান মামলার রায়ে যে কারণে খালাস পেলেন বড় মিজান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:০৮
বহুল আলোচিত গুলশানের হোলে আর্টিজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলা মামলার রায়ে সাত জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
যাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে তারা হলেন: জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে রাশ, সোহেল মাহফুজ ওরফে হাতকাটা মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মামুনুর রশিদ রিপন এবং শরিফুল ইসলাম খালিদ।
মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে অভিযুক্ত আরেকজনকে খালাস দিয়েছে আদালত।
অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় বিচারের মুখোমুখি করা আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দেয়া হয়েছে রায়ে। তাকে রায় শুনে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এই রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মামলার রায় পর্যালোচনা করে খালাস পাওয়া আসামীর বিষয়ে আপিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মামলার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট হলেও হতাশ প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আসামি পক্ষের আইনজীবী দোলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। সাক্ষীদের নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেছেন, ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠির দৃষ্টি আকর্ষণ করা এবং জনমনে ভয় তৈরি করার জন্য ওই হামলা চালানো হয়েছিল বলে আদালত উল্লেখ করেছে।
এই রায় ঘোষণোকে কেন্দ্র করে নাশকতার আশংকায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
তিন বছর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানে অভিজাত রেস্তোরাটিতে জঙ্গিদের হামলায় ১৮ জন বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হয়।
নিহতদের মধ্যে নয় জন ইতালির, সাত জন জাপানের, তিন জন বাংলাদেশী, যাদের একজনের দ্বৈত নাগরিকত্ব ছিল এবং এক জন ভারতীয় নাগরিক। এছাড়া দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হয়েছিলেন জঙ্গিদের গুলিতে।