২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আমদানি করা মাছের খাদ্যে শুকরের উপাদান আছে কি না পরীক্ষার নির্দেশ

- ছবি : সংগৃহীত

বিদেশ থেকে আমদানি করা মাছের খাদ্যে শুকরের মাংসের পকানো উপাদান আছে কি না তা ১০ দিনের মধ্যে পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আমদানি করা মাছের খাদ্যদ্রব্যে শুকরের উপজাত (বাই প্রডাক্ট) আছে কি না, এসব পণ্যের নমুনা ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে চট্টগ্রাম কাস্টমসের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ চট্টগ্রামের কাস্টমসের কাছে থাকা এসব খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা করতে আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনে এ আদেশ দেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস। অপরপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এফ হাসান আরিফ।

বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন কম্পানির প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন মাছের খাদ্যদ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিল করতে সংশ্লিষ্ট কম্পানিগুলোকে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস। ওই চিঠির বৈধতা চালেঞ্জ করে ও পণ্য খালাসের নির্দেশনা চেয়ে কম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্ট এক আদেশে একটি কম্পানির পণ্য খালাসের আদেশ দেন।

এদিকে চট্টগ্রাম কাস্টমস নিজ উদ্যোগে আমদানি করা পণ্য ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে। পরীক্ষার প্রতিবেদনে শুকুরের উপজাত আছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ অবস্থায় সবগুলো কম্পানির আমদানি করা দ্রব্যের নমুনা ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে। এরপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশ দেন।

আদেশের পর আ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আমাদের দেশে শুকুরের কোনো উপাদান আমদানি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। একারণে সর্বোচ্চ আদালত সবগুলো চালানের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। এতে বোভাইন (চতুষ্পদ পশুর উচ্ছিষ্ট) ও পশ্চাইন (শুকুরের উচ্ছিষ্ট) উপাদান আছে কি না তা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement