ডিএসসিইর সেমিনারে বক্তারা এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে বড় বাধা আয়বৈষম্য
- বাসস
- ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
সারা বিশ্বে এখন প্রকট আয়বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আয়বৈষম্য টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের অন্যতম বাধা। তরুণদের কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা দেয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন টেকসই করতে উদ্যোক্তা উন্নয়নে জোর দিতে হবে। এজন্য উদ্যোক্তা নীতিমালা জরুরি। পাশাপাশি আর্থিক খাতের সহযোগিতা বাড়াতে হবে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের (ডিএসসিই) উদ্যোক্ত ক্লাবের আয়োজেন ‘ইন্টারন্যাশলাইজেশন অব এন্ট্রিপ্রিনিউরাল অ্যাক্টিভিটিস ফর এমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ‘ইন্টারন্যাশলাইজেশন অব এন্ট্রিপ্রিনিউরাল অ্যাক্টিভিটি : আর উই রেডি’ শীর্ষক গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন।
তিনি বলেন, দেশে এখনই দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা এমডিজি অর্জনে রোল মডেল ছিলাম। আগামী দিনে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তবে তথ্য ঘাটতি বড় বাধা হতে পারে।
ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতি কোর্সের সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ।
তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে যে বৈষম্য ও পরিবেশগত ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য উন্নত বিশ্বই দায়ী। তাই তাদের দায়িত্ব নিয়ে এ সঙ্কট মোকাবেলায় এগিয়ে আসতে হবে। আর সব বিষয় সমন্বয় করতে সরকারকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।
ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী বলেন, দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক তরুণ এখনো কোনো ধরনের চাকরি, লেখাপড়া এমনকি প্রশিক্ষণের মধ্যে নেই। তরুণদের কর্মসংস্থান ও আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করতে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ এক্সপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও ট্রাস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোমায়রা আজম। এ সময় ডিএসসিইর সহকারী অধ্যাপক রেহানা পারভীনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
হোমায়রা আজম বলেন, দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে হলে সব কাজে নারীদের আরো বেশি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। দেশের সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পারলে রফতানি বহুমুখী হতে পারে। এ ছাড়া ব্যাংক খাতের স্বাভাবিক গতি ধরে রাখতে রাজনৈতিক চাপমুক্ত রাখতে হবে।