২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯ মাঘ ১৪৩১, ২২ রজব ১৪৪৬
`

অনিদ্রা থেকে মুক্তির উপায়

অনিদ্রা থেকে মুক্তির উপায় - ছবি : সংগৃহীত

আমরা কেন ঘুমাই? এর বৈজ্ঞানিক কারণ হচ্ছে, মস্তিষ্কের মেডালা ও মিডব্রেনের মাঝখানে রয়েছে ওয়েকিং সেন্টার বা জাগৃতি কেন্দ্র। জাগৃতি কেন্দ্র যখন কাজ করে তখন আমরা জেগে থাকি। আর এ কেন্দ্রটি যখন কাজ বন্ধ করে দেয় তখন আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। জাগৃতি কেন্দ্রের কাজ নিয়ন্ত্রিত হয় হরমোন সঙ্কেত দ্বারা। আর এই হরমোন নিঃসরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয় শরীর, মনের অবস্থা দ্বারা।
শরীর-মনের অবস্থা অনুসারে হরমোনের মাত্রা কমতে কমতে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় এলে জাগৃতি কেন্দ্র কাজ বন্ধ করে দেয়, ফলে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি।

মাঝে মধ্যে কেন ঘুম আসে না? এর কারণ ব্রেনের জাগৃতি কেন্দ্রকে পরিচালিত করে যে হরমোন তার নিঃসরণ মাত্রা হ্রাস না পাওয়া। হরমোন নিঃসরণ অব্যাহত রয়েছে জাগৃতি কেন্দ্র সক্রিয় রয়েছে, আপনি জেগে থাকছেন। ঘুমানোর ইচ্ছে সত্ত্বেও ঘুম আসছে না।
হরমোনের স্বাভাবিক এই ওঠা-নামায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে স্ট্রেস বা টেনশন। এই অশান্তি, অস্থিরতাই হরমোনের স্বাভাবিক প্রবাহকে ব্যাহত করে। ফলাফল অনিদ্রা।

মুক্তির উপায় : অনিদ্রার কারণ অনুসন্ধান করুন। মনোদৈহিক সমস্যার ক্ষেত্রে মনোবিজ্ঞানী বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সহায়তায় তা দূর করার চেষ্টা করুন। ঘুমের ওষুধ অনিদ্রার সমাধান নয়। সাময়িকভাবে উপকৃত হলেও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে এটি শারীরিক-মানসিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। ঘুমানোর জন্য প্রথম মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরুন। ঘরে হালকা আলো জ্বেলে রাখুন। ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে থেকে প্রচুর পানি পান থেকে বিরত থাকুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঝগড়া, বিবাদ, বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। রাতে উত্তেজনাপূর্ণ হরর, ভায়োলেন্স, পরকীয়াপূর্ণ টিভি সিরিয়াল ও মুভি দেখবেন না। এগুলো স্নায়ুবিক উত্তেজনা, উৎকণ্ঠা, অনিদ্রা, দুঃস্বপ্ন ও হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং একই সময়ে জেগে উঠুন। বিছানায় যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ গো মুখাসন (যোগ ব্যায়াম) করুন। এরপর শবাসনে মেডিটেশন বা ধ্যানে সুন্দর কল্পনা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ুন। নিয়মিত দু’বেলা মেডিটেশন বা ধ্যান একদিকে যেমন আপনাকে স্ট্রেস বা টেনশনমুক্ত করবে অন্যদিকে মেডিটেশনের ‘আয় ঘুম আয়’ টেকনিক আপনাকে নিয়ে যাবে প্রশান্তিময় ঘুমের রাজ্যে।

লেখক: কো-অর্ডিনেটর, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, শান্তিনগর, ঢাকা।


ব্যায়াম ডায়াবেটিস রোগীর হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
ডায়াবেটিস। সব যুগের সব মানুষের জন্য অত্যন্ত খারাপ অসুখ। এ রোগে হার্টের অসুখের সম্ভাবনা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এর কারণে মৃত্যুর সংখ্যাও সর্বাধিক। এই জটিলতা এড়াতে চিকিৎসকেরা ব্যায়ামের উপদেশ দিচ্ছেন। হাঁটা, দৌড়ানো বা সাঁতার কাটা ডায়াবেটিস রোগীদের হার্টের অসুখ থেকে অনেক দূরে রাখে। অতীতে চিন্তা করা হতো ব্যায়াম করলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ভয়ের কিছু নেই। আপনার ইনসুলিন কমিয়ে নিন।

সপ্তাহে চার ঘণ্টা মাঝারি থেকে বেশি পরিমাণে ব্যায়াম করলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও শতকরা ৪০ ভাগ কমে যায়। মহিলারা প্রতিদিন এক ঘণ্টা ব্যায়াম করলে এ সম্ভাবনা কমে যাবে ৪৫ ভাগ। এ ক্ষেত্রে হাঁটার চেয়ে দৌড়ানোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। আর অসুবিধা বোধ করলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
ট্রাম্প প্রশাসন হোয়াইট হাউজের স্প্যানিশ ভাষার পেজ বন্ধ করে দিয়েছে ভালো শুরুর পরও বিপদে রাজশাহী, ১৭১ রানের লক্ষ্য রংপুরের কুলাউড়ায় ইয়াবাসহ মাদককারবারি আটক নাটোরে মাকে হত্যার দায়ে মেয়ের ১০ বছরের আটকাদেশ বিএনপি সবসময় মানুষের কল্যাণে সংস্কার করেছে : সেলিমা রহমান সরিষাবাড়ীতে এলজিইডি কর্মকর্তার আত্মহত্যা ইসরাইলি হামলায় পশ্চিমতীরে ২ হামাস যোদ্ধা নিহত এখন নতুন নতুন তর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে : মির্জা ফখরুল ফেনীতে ‘জুলাই ২৪’ শহীদ চত্ত্বর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন বন্ধ কারখানা খোলার দাবিতে বেক্সিমকোর সংবাদ সম্মেলন হাউছি আনসারুল্লাহকে ‘বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

সকল