জাপানের কাছে বিধ্বস্ত বাংলাদেশ
- রফিকুল হায়দার ফরহাদ, থাইল্যান্ড
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:১৪, আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:২৬
৩৮ ডিগ্রী তাপমাত্রার মাথায় নিয়ে খেলা শুরু হলেও বিরতির পর মেঘলা হয়ে যায় থাইল্যান্ডের ছনবুবিব আকাশ। না এই মেঘ ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আসেনি। অবশ্য এর আগেই ঝড় বয়ে যায় বাংলাদেশ দলের উপর দিয়ে। তা জাপানি টাইফুন নামের ঝড়। এতেই বিপর্যস্ত বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা দল। প্রথমার্ধেই লাল-সবুজদের জালে জাপানের পাঁচ গোল। বিরতির পর আরো চারটি। মোট নয় গোলে হার। ফলে টানা দুই হারে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবলের চূড়ান্ত পর্ব থেকে বিদায় গোলাম রাব্বানী ছোটন বাহিনীর। প্রথম ম্যাচে থাইল্যান্ডের কাছে ০-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। অন্য দিকে আগের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সাথে ড্র করে চাপে থাকা জাপানীরা বড় জয় নিয়ে আশা জিইয়ে রাখলো সেমিফাইনালে যাওয়ার। চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের এতো বড় ব্যবধানে হারটা এবারই প্রথম নয়। ২০১৭ সালে এ্ই ছনবুরিতে প্রথম ম্যাচে উত্তর কোরিয়া নয় গোলে হারের স্বাদ দিয়েছিল কৃষ্ণা- স্বপ্নাদের।
ভুল আর দূর্ভাগ্য এই দুইয়ের মিশেলে কাল এমন লজ্জ্বাজনক হার মারিয়া- আঁখি মনিকাদের। ভাগ্য কেনইবা অযোগ্যকে ফেবার করবে? যারা নিজেদের ভুলে থাইল্যান্ডের কাছে হারে, যাদের সব পজিশনেই সমস্যা তাদের নিয়তি তাদের বিপক্ষেতো থাকবেই। কাল ছনবুরির ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল অ্যাডুকেশন (আইইপি) স্টেডিয়ামে এই নিয়তিও ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। তা না হলে ৬ মিনিটে কেন এমন বাজে দুই গোল খাবে ছোটন বাহিনীর দল। জাপানের মতো অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের সাবেক চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে ৬ মিনিটেই যদি দুই গোল হজম করতে হয় তাহলে সেই ম্যাচে তো আর ঘুরে দাঁড়ানোর কথা নয়। এই পরিস্থিতির সাথে যদি যোগ হয় মিডফিল্ডার এবং ডিফেন্ডারেরর ভুল তাহলে বড় হারই মেনে নিতেই বাধ্য। তাই হয়েছে গতকাল এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা ফুটবলের চ’ড়ান্ত পর্বের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে। ০-৯ গোলের বড় হার। ২০১৭ সালের মতো এবারও এই আসরে জাপানের কাছে পরাজয়। তা আরো বড় আকারে। গত আসরে জাপান জিতেছিল ৩-০তে।
ম্যাচের দুই মিনিট বয়সে জাপানরে ডিফেন্ডার মানাকার ক্রস কেটে গিয়ে বাংলাদেশের পোষ্টে লেগে জালে জড়ায়। ছয় মিনিটে আবার কপাল খারাপ মারিয়াদের। মাইকা হামানোর ক্রস ফের কেটে গিয়ে পোষ্টে লেগে বলের আশ্রয় জালে। তাতেই ছিটকে পড়া বাংলাদেশ দলের। ১৭ মিনিটে ডিফেন্ডার আঁখি খাতুন বিপক্ষে ফুটবলারের পায়ে বল জমা দিলে তাতে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন মই ওতা। তা লালসবুজদের খর্বাকৃতির কিপার রুপনা চাকমার মাথার উপর দিয়ে গোলে যায়।
এরপর বাড়তেই থাকে জাপানিদের দের গোল উৎসবের মুহূর্ত। ২৩ মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমন থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় মাইকা হামানোর। ৪৩ মিনিটে মোমোকো নেবু পরাস্ত করেন রুপনা চাকমাকে। ৩৪ মিনিটে বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো শট নেয় জাপানের পোষ্টে। মনিকা চামকরা সেই ভলি অবশ্য নিয়ন্ত্রণে নিতে কোনো সমস্যাই হয়নি বিপক্ষ গোলরক্ষকের। সারা ম্যাচে এই একটিই ছিল তাদের পোষ্টে বাংলাদেশের শট।
বিরতির পর জাপানি কোচ এক সাথে তিন ফুটবলার পরিবর্তন করান। ছোটন বদল করেন দুই জনকে। তাতেও খর্ব হয়নি ২০১৪ এর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নদের। বরং চলতেই থাকে গোলের মহড়া। ৪৯ মিনিটে কর্নার থেকে বদলী কওনো হিরানাকা ব্যবধান বাড়ান। ৫১ মিনিটে মোমোকো নেবু তার দ্বিতীয় গোল করেন। ৬০ ও ৬১ মিনিটে রিরিকা তানো দুই বার বল জালে পাঠান। ৬১ মিনিটের গোলটি নিত্য ভুল করা গোলরক্ষক রুপনা চাকমার ভুলে। তিনি নাজমাকে বল পাস দিতে চেয়েছিলেন। সেই বলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে গোল রিরিকার।
অবশ্য জাপানিরা আরো বেশী গোল দিতে পারেনি এই রুপনার কিছু প্রতিরোধেই। কাল খুবই খারাপ খেলেছেন লাল-সবুজ মিডফিল্ডাররা। তাদের দোষে ৩/৪টি গোল হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা