স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:০৪
প্রায় প্রতি আসরেই নতুন সেরা দল উপহার দেয় এই টুর্নামেন্ট। সেই ধারা এবারো ভাঙেনি। ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলকে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দেশের সর্বোচ্চ কোনো টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতল বসুন্ধরা কিংস। অন্য দিকে পাঁচ বছর পর কোনো আসরের ফাইনালে উঠেও ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে পারল না শেখ রাসেল।
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র সর্বশেষ ২০১৩ সালের স্বাধীনতা কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। বুধবার বসুন্ধরা কিংসের ফাইনাল জয়ের মাধ্যমে স্বাধীনতা কাপ আবারো নতুন চ্যাম্পিয়নকে পেল। চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস পেয়েছে ট্রফি ও পাঁচ লাখ টাকা। শেখ রাসেল পেয়েছে ট্রফি ও তিন লাখ টাকা। এবার আসরের সেরা ফুটবলার হয়েছেন বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ফাইনালে সেরা একই দলের মার্কোস ভিনিসিয়াস। ৪ গোল দিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা আরামবাগের পল এমিলি।
বিগ বাজেটের দল গড়ে ট্রফি জিততে বেশি সময় নিতে হয়নি বসুন্ধরা কিংসের। ফেডারেশন কাপে ফাইনালে লিড নিয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। আবাহনীর কাছে ১-৩ গোলে হেরেছিলো দলটি মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টের ফাইনালে। বুধবারের ফাইনালেও শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল দলটি; কিন্তু এরপর সমতা এনে তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয় শেখ রাসেল। ম্যাচে শেখ রাসেলের দাপট যেমন ছিল তেমনি গোলের সুযোগও পেয়েছে বেশি; কিন্তু আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা গোলরক্ষক জিকোর প্রতিরোধ ও তুরুপের তাস মতিন মিয়ার দুর্দান্ত গোল জয় এবং ট্রফি নিশ্চিত করে বসুন্ধরা কিংসের।
মাঠে তেমন দর্শক না হলেও তিনটি অসাধারণ গোল দেখার সুযোগ মাঠে আসা এবং টিভি পর্দার সামনে থাকা দর্শকদের। ১৭ মিনিটে বসুন্ধরা কিংস এগিয়ে যায় তাদের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্কোস ভিনিসিয়াসের বাম পায়ের তীব্র শটে। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে তার কোনাকুনি শট ভেঙে দেয় বিপক্ষ কিপার আশরাফুল ইসলাম রানার প্রাণান্ত চেষ্টা। এরপর শেখ রাসেলকে একাই হতাশ করে যাচ্ছিলেন জিকো। ২৯ মিনিটে রাফায়েল, ৪২ মিনিটে ইয়ামিন মুন্নার শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন তিনি। এর আগে ৮ মিনিটে রাফায়েলের টোকাতেও বাধা এই জিকো।
তবে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে আর কিছুই করতে পারেননি জাতীয় দলের রিজার্ভ এবং অনূর্ধ্ব-২৩ জাতীয় দলে খেলা জিকোর পক্ষে। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল পেয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের বাঁকানো শটে সমতা আনেন শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার রাফায়েল ওডোউইন।
বিরতির পর শেখ রাসেল ম্যাচে আধিপত্য দেখালেও গোলের দেখা পায়নি। তাদের আফ্রিকান রিক্রুট রাফায়েল এবং ব্রাজিলের অ্যালেক্স রাফায়েল পারেননি দলকে এগিয়ে নিতে। এই অর্ধে নিজেদের রক্ষণকাজ ঠিক রাখা ছাড়া আর কোনো চমক দেখাতে পারেনি বসুন্ধরা কিংস।
প্রায় প্রতি ম্যাচেই বদলি হিসেবে নেমে চমক দেখান মতিন মিয়া। সেমিফাইনালে তার গোলে লিড নিয়েছিল আবাহনীর বিপক্ষে। কাল এই সাবেক রংমিস্ত্রির গোলে বসুন্ধরা কিংসের প্রথম ট্রফির সাক্ষাৎ। এদিন মাঠে নামেন ৬৮ মিনিটে। ১-১-এ ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়ের ৯৪ মিনিটে দুর্দান্ত গোল সিলেটের এই স্ট্রাইকারের। শেখ রাসেলের বক্সের সামনে বিপলু আহমেদের ভুলে বল পান মতিন। সেই বল ধরে এক ডিফেন্ডার সামনে থাকা সত্ত্বেও ডান পায়ের বাঁকানো শটে রানাকে বোকা বানান এই মতিন। অন্য কোনো খেলোয়াড় এই শট নিতেন কি না সন্দেহ। এই মওসুমে এটি তার ষষ্ঠ গোল। স্বাধীনতা কাপে তিন গোল করার আগে ফেডারেশন কাপের সমসংখ্যক গোল জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ডের। বাকি সময়ে চেষ্টা করেও খেলায় ফিরতে পারেনি শেখ রাসেল। ফলে ট্রফি জিতে বছরটা শেষ করল বসুন্ধরা কিংস।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা