২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

একাদশে দ্বিতীয় ধাপেও ভর্তিবঞ্চিত সাড়ে ৫৫ হাজার শিক্ষার্থী

-

একাদশে ভর্তির জন্য দ্বিতীয় ধাপে ৫৫ হাজার ৫২৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে কোথাও সুযোগ পায়নি। এ পর্যায়ে সারা দেশে মোট ১৩ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৭ জন আবেদন করে ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯২ জন কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে।
শুক্রবার রাতে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ ধাপে মোট ১৩ লাখ ৫৪ হাজর ৩১৭ জন পচ্ছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করেন। তার মধ্যে ১২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯২ জন পচ্ছন্দের কলেজে ভর্তির জন্য সুযোগ পেয়েছেন। তবে সারা দেশে এক হাজার ৮৪৪ জন জিপিএ ৫ ধারী শিক্ষার্থী আবেদন করেও কোনো কলেজে ভর্তির সুযোগ মেলেনি। তৃতীয় ধাপে তারা আবারো আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
এ দিকে দ্বিতীয় ধাপেও অর্ধ লক্ষাধিক ভর্তি ইচ্ছুক কলেজ না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। অনেকে গতকাল নয়া দিগন্তের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ভর্তির সুযোগ না পেয়ে শিক্ষার্থীরা হতাশায় পড়েছেন। অনলাইনে ভর্তির যে নিয়মকানুন সব মেনেই আবেদন করার পরও কলেজ না পেলে এখন কোথায় যাবো? একাধিক শিক্ষার্থী-অভিভাবক বলেন, মনে হচ্ছে ভর্তির পরীক্ষাই ভালো ছিল। যোগ্যতার ভিত্তিতেই ভর্তির নিশ্চয়তা পাওয়া যেত। এখন যে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছি তা মেনে নিতে পারছি না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, অভিভাবক বা শিক্ষার্থীদের হতাশার কিছু নেই। যারা ভর্তির জন্য কলেজ পায়নি, তাদের জন্য এখনও সুযোগ রয়েছে। তাদের তৃতীয় ধাপের ভর্তির আবেদনের সুযোগ নিতে হবে। কলেজগুলোতে এখনো পর্যাপ্ত আসন খালি রয়েছে। হয়তো বা পছন্দের কলেজটি সবাই পাবে না, এটা সত্য। তবে, এসএসসিতে উত্তীর্ণ সবাই ভর্তির জন্য কোনো না কোনো কলেজ রয়েছে। সবাইকে তো সবচেয়ে ভালো কলেজ বলে অভিহিত বা পরিচিতি সেখানে ভর্তির সুযোগ দেয়া যাবে না।
অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ বলেন, দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা বোর্ডর অধীনে মোট তিন লাখ ৪৩ হাজার ১০ আবেদন করে। তার মধ্যে তিন লাখ ২৩ হাজার ২১৯ জন ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। এ বোর্ডে আবেদন করেও ভর্তির সুযোগ ১০ হাজার ২০৯ জন শিক্ষার্থী। তার মধ্যে ৪৯৬ জন জিপিএ ৫ পাওয়া শিক্ষার্থীও রয়েছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করে ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রথম পচ্ছন্দের কলেজ পেয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় পছন্দের কলেজে ১৩ শতাংশ, দ্বিতীয় পেয়েছে ৬ শতাংশ, চতুর্থ পেয়েছে ৪ শতাংশ ও পঞ্চম পছন্দে ২ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছে। যারা এ ধাপেও ভর্তি বঞ্চিত হবেন, তারা তৃতীয় ধাপে শূন্য আসনে আবেদন করতে পারবেন বলে জানান।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড থেকে জানা গেছে, সব শিক্ষা বোর্ডে জিপিএ ৫ পেয়েও দ্বিতীয় ধাপে এক হাজার ৮৪৪ জন কোনো কলেজে ভর্তির জন্য সুযোগ পায়নি। এ সংখ্যা রাজশাহী বোর্ডে বেশি। এ বোর্ডে মোট ৭২৪ জন, ঢাকা বোর্ডে ৪৯৬ জন ও কুমিল্লা বোর্ডে ১৯৩ জন রয়েছেন। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিতদের গতকাল ও আজকের (২৩ জুন) মধ্যেই ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, গত বুধবার একাদশে ভর্তিতে দ্বিতীয় দফার আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। ১৯ ও ২০ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হয়, ২১ জুন রাতে নির্বাচিতদের ফল প্রকাশ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় নির্বাচিতদের নিশ্চয়নের সময় শেষ হচ্ছে আজ ২৩ জুন।
এ দিকে আগামীকাল ২৪ জুন রাত ৮টার পর থেকে তৃতীয় দফায় কলেজে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হবে। পরের দিন (২৫ জুন) রাতে প্রকাশ করা হবে। আগামী ২৭ থেকে ৩০ জুন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে এবং জুলাই মাসের প্রথম দিন শুরু হবে একাদশ শ্রেণীর ক্লাস।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে দুপুর একাদশ শ্রেণীর ভর্তি অনলাইন ও মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়। আবেদন চলে গত ২৪ মে পর্যন্ত। গত ১০ জুন প্রথম ধাপের আবেদনের ভিত্তিতে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement