২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কালো তুষারে ডুবেছে তিন শহর

কালো তুষারে ঢাকা তিন শহর - ছবি : সংগৃহীত

সাইবেরিয়ার মতো এলাকায় তুষার পড়বে এটা তো সাধারণ ব্যাপার। তুষারপাতে পুরো এলাকা হয়ে যাবে সাদা ধবধবে। সূর্যের আলো পড়লে ধাঁধাঁ লাগবে চোখে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।


কিন্তু এবার যে সাইবেরিয়ার তিনটি শহর ঢেকে গেছে কালো বরফে! বিষয়টি চিন্তায় ফেলে দিয়েছে পরিবেশবিদদের।


সম্প্রতি রাশিয়ার সাইবেরিয়ার প্রোকোপ্যেভস্ক শহরটিতে কালো তুষারপাত ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলে জানা গিয়েছে বিজ্ঞান বিষয়ক গণমাধ্যম ‘সায়েন্স অ্যালার্ট’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে।


ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রোকোপ্যেভস্ক শহরটি একটি কয়লাখনি অঞ্চলের অন্তর্গত। এই অঞ্চলে সর্বদাই বাতাসে ভাসতে থাকে কয়লার গুড়া। আপাতত বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ কয়লাজনিত দূষণই ওই কালো তুষারপাতের জন্য দায়ী।


তবে শুধু প্রোকোপ্যেভস্ক নয়, সাইবেরিয়ার কেমেরোভো এলাকার আরো কিছু শহর এ ভয়ানক দূষণে আক্রান্ত। কিন্তু এ থেকে উদ্ধার পাওয়ার শটকার্ট কোনো রাস্তা নেই বলে জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। কারণ কয়লা প্রসেসিং প্ল্যান্টগুলো থেকেই এ দূষণ ছড়াচ্ছে। আর রাশিয়ার এ অঞ্চল থেকেই দেশের ব্যবহারযোগ্য কয়লার ৬০ শতাংশ আহরিত হয়। ফলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া মোটামুটি একটা কঠিন ব্যাপার।


অথচ এ দূষণের কারণেই এ অঞ্চলের মানুষের আয়ুসীমা কমছে। বেশ কিছু সমীক্ষায় এমন তথ্য জানা গেছে।


প্রোকোপ্যেভস্ক কোল প্ল্যান্টের ডিরেক্টর আনাটোলি ভোলকভ জানান, কয়লা তুলতে গিয়ে খনির বাইরেও কয়লার গুড়া উড়ছে। কিন্তু এই ওড়া বন্ধ করতে তারা অপারগ। ওদিকে ক্রমেই বেড়ে চলেছে দূষণ। কালো বরফ তারই বিপদ সংকেত।


কুজবাও অঞ্চলের প্রোকোপ্যেভস্ক, কিসেলইওভস্ক ও লেনিস্ক-কুজনেটস্কিন -এ তিনটি শহরেই কালো তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। শহরগুলো সাইবেরিয়ার পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত। এসব এলাকায় ২৫ লাখ লোক বসবাস করে। এ এলাকায় রাশিয়ার অর্ধেকের বেশি কয়লাখনি অবস্থিত, যা ১০ হাজার বর্গমাইল এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। কয়লাখনি থেকে উড়ে আসা গুড়াগুলো বাতাসকে উত্তপ্ত করে তোলে। এরপর এগুলো তুষারের সাথে মিশে কালো তুষার তৈরি করে।


নভেম্বর থেকে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে সেখানকার তাপমাত্রা মাইনাস ২৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে আসে।

 

আরো পড়ুন : চীনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তুষার উৎসব

সিএনএন, ০৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০


চীনের উত্তরাঞ্চলে হেইলংজিয়াং প্রদেশে প্রতি বছর বরফ-তুষার উৎসব আয়োজিত হয়। এতে প্রদর্শিত হয় বরফ ও তুষারের তৈরি বিভিন্ন ভাস্কর্য। চীনের এই উৎসবটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় তুষার উৎসব। প্রতি বছর ৫ জানুয়ারি উৎসবটি শুরু হয় যা শেষ হয় ৫ ফেব্রুয়ারি।


মাসব্যাপী চলা এই উৎসবের আকর্ষণীয় কিছু ভাস্কর্য অনেক সময় উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আগেই পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এবার বরফ-তুষার উৎসবে ১ লাখ ১০ হাজার ঘনমিটার বরফ এবং ১ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার তুষার ব্যবহার করা হয়েছে।

এ ছাড়া ৪ হাজার ৫০০ বর্গ ঘনমিটার তুষারের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে একটি বুদ্ধমূর্তি। জানা গেছে, দর্শনার্থীরা এখানে বিশ্বের ১২টি দেশের তৈরি ভাস্কর্য দেখার সুযোগ পাবেন। এতে প্রবেশ করতে ৪৮ ডলার ব্যয় হবে। ১৯৮৫ সাল থেকে চীনে এই বরফ-তুষার উৎসব আয়োজিত হয়ে আসছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ইয়েমেনের হাউছিদের বিরুদ্ধে ‘শক্তি, প্রত্যয়’ নিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি নেতানিয়াহুর স্ত্রী-মেয়েসহ সোলায়মান জোয়ার্দারের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পেছনে মাস্কের নেপথ্য শক্তি হওয়াকে অস্বীকার ট্রাম্পের স্ত্রী-সন্তানসহ শাহরিয়ার আলমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলে হামলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরাকি মিলিশিয়ারা সাভারে প্রশাসনের আশ্বাসে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর যান-চলাচল স্বাভাবিক নিয়োগে দুর্নীতি : লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন : সপু রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সাথে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ দোহারে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু নিখোঁজের ৮ দিন পর পুকুর থেকে বৃদ্ধার ভাসমান লাশ উদ্ধার

সকল