রাবিতে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও, মানববন্ধন
- রাবি সংবাদদাতা
- ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৪০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহরাব মিয়াকে রড দিয়ে বেধড়ক মারধরে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বই হাতে নিয়ে প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র ভবনের সামনে থেকে ‘বই হাতে’ একটি মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
সেখানে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচির পরে শিক্ষার্থীরা হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে সাত দিনের আল্টিমেটাম দেন। পাশাপাশি দাবি আদায় না হলে সাতদিন পর আবারো আন্দোলনে আসার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এছাড়া একই দাবিতে রোববার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে নিপীড়ন বিরোধী ছাত্র-শিক্ষক ঐক্যের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদের সঞ্চলনায় বক্তব্য দেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আক্তার হোসেন মজুমদার, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব, আইইআর বিভাগের অধ্যাপক আক্তার বানু আল্পনা, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশী শক্তির আস্তানা গড়ে উঠেছে। গুন্ডামী শিক্ষাকে ছাপিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সময় ছাত্রদের মানসিক ও দৈহিক নিপীড়নের মত ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেই চলেছে। বৈধ আবাসিক শিক্ষার্থীকে বের করে দিয়ে ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্তরা হল দখল করছে। অছাত্র বখাটে কর্তৃক ছাত্রী নিগ্রহ ঘটে চলেছে। কিন্তু নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশাসন তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ সময় তারা কয়েকটি দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- নিপীড়ক শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, দায়িত্বে অবহেলার জন্য হল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, কোনো নির্যাতন হলে মামলার তদারকি ও ব্যয়ভার প্রশাসনকে বহন করা, হলের সব জায়গায় সিসিটিভির ব্যবস্থা, বৈধ শিক্ষার্থীদের সিট দেয়া, কোন সংগঠনের হস্তক্ষেপ না করা ইত্যাদি। এদিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হামলায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের রাবি শাখার নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নম্বর কক্ষে সোহরাবকে নিয়ে যান হল ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম ওরফে আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। সেখানে নানা রকম কথা জিজ্ঞাসা করার পর একপর্যায়ে তারা দুইজন মিলে রড দিয়ে সোহরাবের মাথা ও হাতে মারধর করতে থাকে। এতে রক্তাক্ত হলে তারা মারধর বন্ধ করে। পরে তার বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রামেকে ভর্তি করে।