ঢাবিতে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ প্রতিযোগিতা শুরু
- অনলাইন প্রতিবেদক
- ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:১৫, আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:২৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা অন্বেষণে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। প্রথমবারের মতো ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যালেন্ট হান্ট’ শিরোনামে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
শুক্রবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে এ প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে। চলবে আগামী ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত। ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতার সার্বিক বিষয় নিয়ে আজ ডাকসু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের করেন ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনন্য সাংস্কৃতিক প্রতিভাকে তুলে আনার জন্য মূলত এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ডাকসু।
আসিফ তালুকদার বলেন, ‘ইতিবাচক সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি অসাম্প্রদায়িক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা সম্ভব। এ ধারণা থেকে আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। ‘
মোট সাত ক্যাটাগরিতে এ প্রতিযোগিতায় রয়েছে- রবীন্দ্রসংগীত, নজরুলসংগীত, লোকসংগীত, আধুনিক গান, একক নৃত্য, একক অভিনয় ও কবিতা আবৃত্তি। যে কোনো প্রতিযোগী সংগীতের পছন্দ অনুযায়ী দুটি বিষয়সহ মোট তিনটি বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট হলের যে কোনো আবাসিক, দ্বৈতাবাসিক বা অনাবাসিক শিক্ষার্থী আইডি কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিষয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীকে হল পর্যায়ে বই, ক্রেস্ট এবং সার্টির্ফিকেট দেওয়া হবে। প্রত্যেক হল থেকে প্রতিটি বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকারীকে নিয়ে টিএসসিতে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের নিয়ে গঠন করা হবে ডাকসু সাংস্কৃতিক দল।
আয়োজনে প্রধান সমন্বয়কের কাজ করবেন ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসিফ তালুকদার ও সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবেন ডাকসুর সদস্য রফিকুল ইসলাম সবুজ। হল পর্যায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট হল সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদকবৃন্দ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আহমেদুল করিমের নেতৃত্বে গঠিত বিচারক প্যানেল থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষকমন্ডলী থাকবেন।
প্রতিযোগিতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘এটি একটি বড় পুল হবে এবং এই পুলে যেসব শিক্ষার্থী থাকবে, তারাই জাতীয় বিভিন্ন পর্যায়ে ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে পারবে।’