১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আবরার হত্যার প্রতিবাদে সহপাঠীদের গ্রাফিতি

আবরার হত্যার প্রতিবাদে সহপাঠীদের গ্রাফিতি - নয়া দিগন্ত

আবরার!! বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত নাম। একটি হত্যা, বাবা-মা, পরিবার ও সহপাঠীদের কান্না আর দেশের ১৬ কোটি মানুষের ক্ষোভ নামটিকে তুলে এনেছে সবার আলোচনায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের আবাসিক হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে হত্যার শিকার হওয়া বুয়েট শিক্ষার্থী আবরারের কথা বলছি। ভারতের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশের সাধারণ ছাত্র সমাজ। আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথেও নামেন তারা। সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতের দাবিতে নানা কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখছেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আবরার হত্যার প্রতিবাদে বুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে বিভিন্ন দেয়ালে প্রতিবাদী গ্রাফিতি আঁকছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি গ্রাফিতির মাঝে প্রকাশ পাচ্ছে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ, রাগ, অভিমান, আবরারকে হারানোর কষ্ট এবং ক্যাম্পাসে তাদের নিরাপত্তাহীনতার প্রতিচ্ছবি। আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপদ ক্যাম্পাস এখন বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি।

বুয়েটের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী সাফায়েত আলম আবির নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা এসব গ্রাফিতির মাধ্যমে আমাদের পুরো আন্দোলনের দাবিগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এখানে আবরারের লাশের গ্রাফিতি আছে, তার বাবার ছবি আছে।

বুয়েটের আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের আরেক শিক্ষার্থী আকিব নয়া দিগন্তকে জানান, আবরার হত্যার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে আমাদের ক্যাম্পাস নিরাপদ নয়। শুধু আবরার হত্যাকাণ্ডই না, এর আগেও ক্যাম্পাসে এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে এবং আবরার হত্যার পরে আরো অনেক ঘটনা বের হয়ে আসছে। এর মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হয়েছে আমাদের ক্যাম্পাসে আমরা শিক্ষার্থীরাই নিরাপদ নই। আমরা সবাই মনে করি যতদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বুয়েট ক্যাম্পাস নিরাপদ না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের ছোট ভাই-বোনদের নতুন করে এই ক্যাম্পাসে আসা নিরাপদ মনে করছি না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের আরেক শিক্ষার্থী নয়া দিগন্তকে জানান, আমাদের আন্দোলনের মূল বেসিক বিষয়টি হলো আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচার। তবে আবরার হত্যার পরে আমাদের সামনে আরো অনেকগুলো ঘটনা বের হয়ে আসছে যারা এরকম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা হয়তো জীবিত আছেন তবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার যে বুয়েটের মত একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথম দিন এসে সালাম না দেয়ার কারণে র‌্যাগিংয়ের শিকার হতে হয়। চড় খেয়ে, কান ধরে উঠবস করে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়।

তিনি আরো বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে এতটাই অনিরাপদ যে, একজন নতুন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে এসে নিজের হলে নামাজ পড়তে যেতেও ভয় পায়। কারণ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের কিছু অসাধু নেতাকর্মীরা নামাজ পড়তে দেখলে তাদেরকে শিবির সন্দেহে নির্যাতন, মারধর এমনকি হত্যাও করতে পারে। আসলে আমরা এই অনিরাপদ ক্যাম্পাস ব্যবস্থা থেকে উত্তরণ চাই। আমরা আশা করব আমাদের এসব ন্যায্য দাবি মেনে নেয়ার মাধ্যমে বুয়েট ক্যাম্পাসকে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
বেসরকারিভাবে পরিচালিত ২৪ ট্রেনের ‘লিজ বাতিল’ সাও পলোতে প্রথম গ্লোবাল সাউথ মিডিয়া ফোরাম শুরু জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতে আগাম নির্বাচন জার্মানিতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসিইউয়ের অর্থ পরিশোধে কমেছে রিজার্ভ বিচারব্যবস্থা বিনির্মাণে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান প্রধান বিচারপতির পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২ নম্বর ইউনিট বন্ধ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে শান্তর বদলে দিপু চট্টগ্রামে কর্ণফুলী মার্কেটে ভয়াবহ আগুন সেনাবাহিনী প্রধানের সাথে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

সকল