২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মাদরাসার পাঠ্য; মাজারে গিয়ে দোয়া করলে কবুল হয়!

- ছবি : সংগৃহীত

মাদরাসার পাঠ্যবইয়ে লেখা হয়েছে মাজারে গিয়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়। মাজারে বসবাসকারী ফকির মিসকিনদের সহায়তার জন্য মান্নত করায় কোনো ক্ষতি নেই।

আলিয়া মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠ্যবইয়ের নাম ‘আকাইদ ও ফিকহ্’। এ বইয়ের ৮৯ পৃষ্ঠায় একটি শিরোনাম ‘ওলিগণের মাজার শরিফ জেয়ারত’। এখানে লেখা হয়েছে ‘ওলিগণ যেহেতু দুনিয়া ও আখেরাতে সুসংবাদপ্রাপ্ত তাদের মাজার শরিফে গিয়ে তাদেরকে ওসিলা করে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা তার প্রিয়বন্ধুর সম্মানে দোয়া কবুল করেন।’

মাদরাসায় নবম-দশম শ্রেণীর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ্যবই হলো ‘আকাইদ ও ফিক্হ’। এ বইয়ের ২৩ পৃষ্ঠায় একটি শিরোনাম হলো ‘ইসলামে মানতের বিধান’। এখানে লেখা হয়েছে ‘ওলিদের কবর ও মাজারে মান্নতের ব্যাপারে বিভিন্ন মত রয়েছে। শুদ্ধতম কথা হলো- ওই সব মান্নত দ্বারা যদি মাজারের আশপাশে বসবাসকারী ফকির মিসকিনদের প্রতি সহায়তার নিয়ত করা হয় তবে সে মান্নতে কোনো ক্ষতি নেই।’

অষ্টম শ্রেণীর আকাইদ ও ফিকহ্ বইটিতে মাজারে গিয়ে দোয়া করার পক্ষে ইমাম শাফেয়ির নাম ব্যবহার করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে- আলি ইবনে মায়মুন বলেন, আমি ইমাম শাফেয়ি রহমাতুল্লাহি আলাইকে বলতে শুনেছি, ‘আমি ইমাম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির দ্বারা বরকত হাসিল করি। আমি প্রায়ই তার কবর জেয়ারতে যাই। আমার কোনো প্রয়োজন দেখা দিলে আমি দুই রাকাত সালাত আদায় করে আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহির কবরের কাছে এসে দোআ করি। এতে দ্রুত দোআ কবুল হয়।’ তারিখে বাগদাদ, খতিব বাগদাদি ১/২০৩।

বইটির ৮৮ পৃষ্ঠায় একটি শিরোনাম হলো ‘ওলিগণের কারামত’। এখানে লেখা হয়েছে, ওলিগণের কারামতে বিশ্বাস করা ঈমানের অংশ।

অষ্টম শ্রেণীর আকাইদ ও ফিকহ্ বইয়ের ৩১ পৃষ্ঠায় একটি শিরোনাম হলো ‘ইবাদতের ক্ষেত্রে ওসিলা গ্রহণ’। এখানে লেখা হয়েছে ‘হযরত ইমাম আ’যম আবু হানিফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লক্ষ্য করে বলেছেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনিতো সেই মহান ব্যক্তি, আদম আলাইহিস সালাম পদস্খলন থেকে আপনাকে ওসিলা করে সফল হয়েছেন অথচ তিনি আপনার আদি পিতা। আপনার ওসিলা নিয়ে ইব্রাহিম খলিল অগ্নিকুণ্ডে পড়ার সাথে সাথে আগুন ঠাণ্ডা হয়ে যায়, আপনার নূরের তাজাল্লিতে আগুন নিভে যায়।’ (কাসিদায়ে নো’মান)

এখানে আরো লেখা হয়েছে আল্লাহ তায়ালার নিয়মই হলো তিনি সরাসরি সবকিছু করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কোনো মাধ্যম ছাড়া কিছু দেন না। তাই নিজেই ওসিলা অন্বেষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

পাঠ্যবইয়ে ওসিলার স্বপক্ষে সূরা মায়েদার ৩৫ নম্বর আয়াতকে ব্যবহার করা হয়েছে। ৩৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে ‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং তার কাছে ওসিলা তালাশ কর।’

দাখিল অষ্টম শ্রেণী ও দাখিল নবম-দশম শ্রেণীর জন্য পাঠ্য আকাইদ ও ফিক্হ বই দু’টি বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক প্রণীত এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবি কর্তৃক প্রকাশিত। বই দু’টি প্রথম প্রকাশ করা হয় ২০১৩ সালে। পাঠ্য করা হয় ২০১৪ সালে। ২০১৮ সালে পরিমার্জন করা হয়।

বিশিষ্ট আলেমদের অভিমত
অষ্টম এবং নবম শ্রেণীর জন্য পাঠ্য আকাইদ ও ফিকহ্ বইয়ে মাজার, মানত, শাফায়াত, ওসিলা প্রভৃতি বিষয়ে যা লেখা হয়েছে তা নিয়ে দৈনিক নয়া দিগন্তের পক্ষ থেকে কথা হয় মাসিক মদীনা সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন খান, আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আবদুল হালিম বোখারী, শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার ঢাকার মহাপরিচালক মুফতি মুহাদ্দিস এম মিজানুর রহমান সাঈদী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. হাফেজ এ বি এম হিজবুল্লাহ, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ও আল ফিকহ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবু বকর মুহম্মদ যাকারিয়া, গেন্ডারিয়ায় অবস্থিত মাদরাসা বায়তুল উলুম (ঢালকানগর মাদরাসার মুহতামিম অধ্যক্ষ) মাওলানা মুফতি জাফর আহমাদ, সায়েদাবাদে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া বায়তুন নূর মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম মাওলানা মনিরুজ্জামান, নরসিংদীর কাসেমিয়া জামেয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ হাফেজ মাহমুদুল ইসলাম, ফেনীর মুন্সিরহাট ফাজিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহর সাথে। (এ সিরিজ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয় ২০১৪ সালে। তখন মাওলানা মুহিউদ্দীন খান ও প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর জীবিত ছিলেন। তবে সিরিজ প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হলেও তখনকার বিদ্যমান পরিস্থিতির কারণে প্রতিবেদন প্রকাশ স্থগিত রাখা হয়। আজকের প্রতিবেদনের বিষয় ২০১৪ সালের পাঠ্যবইয়ে যেমন ছিল ২০১৯ সালের পাঠ্যবইয়েও তেমন রয়েছে।)

মাজার, মানত, শাফায়াত, ওসিলা বিষয়ে মাদরাসার পাঠ্যবইয়ে যা লেখা হয়েছে সে বিষয়ে অভিমত জানার জন্য মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের গেন্ডারিয়ার ডিআইটি রোডের বাসায় যাওয়া হয় ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তখন তিনি অসুস্থ এবং বিছানায় শায়িত। তার কাছে বসে মাদরাসার বই থেকে এসব বিষয় পড়ে শোনানোর পর মাওলানা মুহিউদ্দীন খান বলেন, এসব বিশ্বাস করলে শিরক বিদ’আত ছড়িয়ে পড়বে। সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। বইয়ের লেখকেরা তাদের মতামতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা যা লেখা দরকার তাই লিখেছেন। হাদিসের কিছু কিছু বিষয়কে তারা এদিক সেদিক করে আঁকাবাঁকা করে উপস্থাপন করেছেন তাদের মতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।

প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এবং ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া মজুমদার মাজার বিষয়ে একই মত পোষণ করে বলেন, মাজারে গিয়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয় মর্মে যা লেখা হয়েছে তা বিশ্বাস করা শিরক। তা ছাড়া মাজার জেয়ারত এবং ওসিলা বিষয়ে যথাক্রমে ইমাম শাফেয়ি এবং ইমাম আবু হানিফার নামে যা লেখা হয়েছে তা সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা কথা। তাদের মত লোক এসব কথা বলতে পারেন না। এসব বিশ্বাস করলে ঈমান থাকবে না।

এ দু’জন প্রফেসর বলেন, তিনটি উদ্দেশ্যে কবর জেয়ারত করা হয়। মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা, আখেরাতের স্মরণ এবং দুনিয়াবিমুখ হওয়ার প্রেরণা লাভ।

প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বলেন, ইমাম শাফেয়ি ছিলেন মিসরের লোক আর ইমাম আবু হানিফা ছিলেন বাগদাদের। কাজেই ইমাম শাফেয়ি প্রয়োজন দেখা দিলেই আবু হানিফার মাজারে যাতায়াত করতেন কিভাবে?

তিনি বলেন, মাজার জেয়ারত বিষয়ে বিশেষ কোনো হাদিস আছে কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ এ বিষয়ক সব হাদিস জাল ও ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ সেগুলোকে দুর্বল বা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন।

আল জামেয়াতুল ইসলামিয়া পটিয়ার প্রধান আবদুল হালিম বোখারি বলেন, দোয়া কবুলের যেসব সময় এবং কাজের কথা হাদিসে আছে তার মধ্যে মাজারে যাওয়ার কথা আমরা পাইনি।

মুফতি মুহাদ্দিস এম মিজানুর রহমান সাঈদ পাঠ্যবইয়ে মাজার বিষয়ে যা লেখা হয়েছে সে প্রসঙ্গে বলেন, মাজার বলাটাকে আমরা ঠিক মনে করি না। মাজার নিয়ে আমাদের সমাজে যে সংস্কৃতি চালু রয়েছে এবং মাজারকেন্দ্রিক যেসব কাজকর্ম চলছে তাতে মাজার বলতে ভিন্ন একটা বিষয় আমাদের মনে ভেসে ওঠে। মাজারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে শিরক বিদ’আতি কাজকর্ম চলছে। এ অর্থে আমরা মাজার জেয়ারত সমর্থন করি না। আমরা কবর জেয়ারত বলতে চাই এবং কবরের কাছে যাওয়া, কবরবাসীকে সালাম দেয়া, তাদের জন্য দোয়া করার কথা হাদিসে আছে। রাসূল সা: বলেছেন, কবরের কাছে গেলে মৃত্যুর কথা স্মরণ হয়, আখিরাতের কথা স্মরণ হয় এবং দুনিয়ার প্রতি আকর্ষণ কমে। এ জন্য তিনি কবরের কাছে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। কিন্তু কবরওয়ালাকে আল্লাহর ওলি মনে করে সেখানে গিয়ে সেজদা করা, তার কাছে কিছু চাওয়া শিরক।

তিনি বলেন, মাজার নিয়ে মাদরাসার পাঠ্যবইয়ে যা লেখা হয়েছে তা বাড়াবাড়ি এবং অতিরঞ্জন।

মাজারে যাওয়া এবং সেখানে গিয়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হওয়ার সমর্থনে ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম শাফেয়ির নামে যা লেখা হয়েছে তা কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্রে বর্ণিত নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রফেসর ড. হাফেজ এ বি এম হিজবুল্লাহ মাজার এবং ওসিলা বিষয়ে বলেন, মাজারে যাওয়ার কথা কোথাও নেই। মাজারে না যাওয়া, সেখানে গিয়ে কিছু না চাওয়ার বিষয়ে আলেমগণ একমত। মৃত ওলিগণের ওসিলা করে দোয়া না করা বিষয়ে মদিনাকেন্দ্রিক আলেমগণ একই মত পোষণ করেন। তবে এর বাইরে কোনো কোনো আলেম রয়েছেন যারা মৃত ওলিগণের ওসিলা করে দোয়া করাকে হারাম মনে করেন না। তাই মৃত ওলিগণের ওসিলা করে দোয়া করার বিষয়টি বিতর্কিত। কাজেই আমার মতে মৃত ওলিগণের ওসিলা করে দোয়া না করাই উত্তম। সরাসরি আল্লাহর কাছেই যা কিছু চাওয়ার চাওয়া এবং দোয়া করা উচিত।

কাসেমিয়া জামেয়া কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ হাফেজ মাহমুদুল ইসলাম বলেন, কোনো মৃত ব্যক্তির তা সে যে-ই হোক না কেন ওসিলা করে দোয়া করা বৈধ নয়। মৃত ব্যক্তির মাজারকে ওসিলা বানানো যাবে না। মাজারে গিয়ে ওলিগণের ওসিলা করে দোয়া করলে দোয়া কবুলের যে কথা পাঠ্যবইয়ে লেখা হয়েছে তা সঠিক নয়। এতে শিরক বিদআত ছড়িয়ে পড়বে সমাজে।

মাজার বা কবর জেয়ারত বিষয়ে কোনো কোনো বিশেষজ্ঞের মত হলো জেয়ারতের উদ্দেশ্যে মাজারে যাবারও নিয়ম নেই। আবার কেউ কেউ বলেছেন, কবর জেয়ারত তথা মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করা যাবে তবে কোনো কিছু চাওয়া পাওয়ার জন্য কবরে যাওয়া যাবে না।

ওসিলা বিষয়ে প্রফেসর ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এবং ড. জাকারিয়া মজুমদার বলেন, আল্লাহ মাধ্যম ছাড়া কিছু দেন না বলে যা লেখা হয়েছে তা মিথ্যা। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বারবার বলেছেন, তিনি মানুষের সবচেয়ে নিকটে, তিনি মানুষের সব কথা শোনেন, সবকিছু দেখেন, সবার মনের কথা জানেন, তিনি প্রার্থনা শ্রবণ করেন, প্রার্থনা কবুল করেন, সবকিছুই তার সামনে রয়েছে। কাজেই যা কিছু চাওয়ার সরাসরি তার কাছেই চাওয়ার জন্য আল্লাহ বলেছেন।

ওসিলা বিষয়ে প্রফেসর ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বলেন, পৃথিবীতে রাজা, বাদশাহ, শাসক ও মন্ত্রীদের কাছে কোনো আবেদন পেশ করতে হলে তাদের একান্ত আপনজনদের মাধ্যমে তা পেশ করলে তাড়াতাড়ি ফল পাওয়া যায়। পৃথিবীর বাদশাহ আমাকে চেনেন না কিন্তু তার কোনো প্রিয়পাত্র হয়তো আমাকে চেনেন। তার সুপারিশ পেলে বাদশাহর মনে নিশ্চয়তা আসবে যে, আমি তার দয়া পাওয়ার উপযুক্ত মানুষ। কিন্তু আল্লাহ তা’আলার বিষয় কি এরূপ? তিনি কি আমাকে চেনেন না? আল্লাহর কোনো ওলি, কোনো প্রিয় বান্দা কি আমাকে আল্লাহর চেয়ে বেশি চেনেন? না বেশি ভালোবাসেন? অথবা বেশি করুণা করতে চান? এ ছাড়া পৃথিবীর বাদশাহ বা বিচারকের মানবীয় দুর্বলতার কারণে পক্ষপাতিত্বের বা ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ভয় আছে, সুপারিশের মাধ্যমে যা দূরীভূত হয়। আল্লাহর ক্ষেত্রে কি এমন কোনো ভয় আছে? কাজেই আল্লাহর কাছ থেকে কোনো কিছু পেতে হলে মাধ্যম লাগবে বা মাধ্যম ছাড়া তিনি কোনো কিছু দেন না এমন বিশ্বাস করা শিরক।

মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ বলেন, পবিত্র কুরআনে ওসিলার ব্যাখ্যায় কোনো তাফসিরকারকই মাধ্যম বা মাধ্যম ধরা বোঝাননি। ওসিলা বলতে সব তাফসিরকারক আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, নেক আমল, সৎকাজ তথা আমলে সালেহকে বুঝিয়েছেন।

দাখিল অষ্টম ও দাখিল নবম-দশম শ্রেণীর এ বই দুইটির রচয়িতা হিসেবে নাম লেখা রয়েছে অধ্যক্ষ ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান, অধ্যক্ষ ড. মাওলানা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম আল মারুফ, উপাধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক। বই দু’টি সম্পাদনা করেছেন মাওলানা রুহুল আমিন খান।


আরো সংবাদ



premium cement