১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

‘ফণী’ এখন আর অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় নেই

ঝড়ের প্রভাবে উত্তাল বাংলাদেশের নদনদী - ছবি : বিবিসি

‘ফণী’ এখন আর অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা। এর আগে আজ ভোরে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে ভারতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’।

আজ শনিবার বেলা সোয়া এগারটায় ঢাকা আবহাওয়া অফিস থেকে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বিবিসিকে বলেন, ঝড়টি এ মুহূর্তে ফরিদপুর-ঢাকা অঞ্চলে আছে এবং গাজীপুর ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ হয়ে সিলেট অঞ্চল দিয়ে বেরিয়ে যাবে এটি।

তিনি জানান, ধীর গতিতে এগুনোর কারণে ঢাকা অঞ্চল পাড়ি দিতে দুর্বল হয়ে পড়া ঝড়টির কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে।

তবে ঝড়ের প্রভাবে দেশজুড়ে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা ঝড় বৃষ্টি অব্যাহত আছে।

এর আগে ভোরে বাংলাদেশের সীমানায় ঝড়টি প্রবেশের পর ঢাকা আবহাওয়া অফিস থেকে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম আজাদ মল্লিক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ফণী এখন আর অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় নেই।

‘এটি ভোর ছয়টা ঘূর্ণিঝড় আকারে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় প্রবেশ করেছে। ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে দেশের প্রায় সর্বত্র আকাশ মেঘাচ্ছন্ন এবং বিভিন্ন স্থানে ধমকা হওয়া সহ ঝড়ো বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হচ্ছে।’

বিবিসি সংবাদদাতা আকবর হোসেন মোংলা থেকে জানাচ্ছেন, ঝড়ের প্রভাবে সেখানে ভোর থেকে হালকা বাতাস বইতে শুরু করেছে ও বৃষ্টি হচ্ছে কোথাও কোথাও।

এদিকে আবহাওয়া অফিস থেকে সর্বশেষ যে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬২ কিলোমিটার যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘যশোর সাতক্ষীরা খুলনা অঞ্চল থেকে উত্তর উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সাড়ে নয়টা নাগাদ ফরিদপুর ঢাকা অঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফণী অবস্থান করছিলো।’

আর ঝড়ের প্রভাবে সাগর খুবই উত্তাল আছে এবং একই সাথে ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement