আগরতলা বিমানবন্দরের জন্য বাংলাদেশের কাছে ৫২ একর জমি চেয়েছে ত্রিপুরা
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ০৭ আগস্ট ২০১৯, ২১:৩৫, আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০১৯, ২২:৩৭
আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারনের জন্য বাংলাদেশের কাছে ৫২ একর জমি চেয়েছে ত্রিপুরা। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।
ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (এএআই) পরিচালক বিপিন কান্ত শেঠ সংবাদ মাধ্যম আইএএনএসকে একথা জানিয়েছেন। আগরতলা ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর। বাংলাদেশ সীমন্ত লাগোয়া বিমানবন্দরটি ৫০৯ একর জায়গার ওপর অবস্থিত।
বিপিন কান্ত শেঠ বলেন, অতিরিক্ত ৫২ একর জমি পেলে বিমানবন্দরের রানওয়েটি বড় মাপের আন্তর্জাতিক রুটের এয়ারক্রাফট পরিচালনায় ব্যবহার করা যাবে।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নিশ্চিত করেছেন, বিষয়টি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে উত্থাপন করা হয়েছে। কেন্দ্র এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারকে প্রস্তাব দিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেবল উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যেই নয়, বাংলাদেশের মানুষরাও বিদেশে যাওয়ার জন্য আগরতলা বিমানবন্দর ব্যবহার করে থাকে। বিমানবন্দরটিতে এয়ারবাসের মত বড় এয়ারক্রাফট পরিচালনা করা গেলে উভয় দেশের মানুষই উপকৃত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় জমি পাওয়া গেলে বিমানবন্দর সম্প্রসারণে দেড় হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে।
ত্রিপুরার যোগাযোগ বিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রাজ্যের চাওয়া অতিরিক্ত জমিটি বাংলাদেশের ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া জেলার হরিপুর গ্রামে পড়েছে। প্রয়োজনীয় সমীক্ষার পর জমির প্রকৃতি সম্পর্কে জানা যাবে।
ত্রিপুরার যোগাযোগ ও পর্যটনমন্ত্রী প্রণাজিৎ সিনহা রায় বলেছেন, ২০২০ সালের মধ্যে আগরতলা বিমানবন্দরটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তৃতীয় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিণত হবে। বর্তমানে গোহাটি ও ইমপালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। সম্প্রসারিত হলে এই বিমানবন্দর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা