সড়কের কার্পেটিং তুলে ফেললো এলাকাবাসী
- সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা
- ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:১৭
অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের নির্মানাধীন সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং তুলে ফেলছে স্থানীয়রা। বৃহস্পতি ও শুক্রবার সদর উপজেলার বহুলী-কোনাবাড়ি-চন্ডিদাসগাঁতী হাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং তুলে প্রতিবাদ করায় ওই সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ।
সরেজমিনে উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের খামার পাইকোশা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, নিন্মমানের উপকরণ ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণের অভিযোগে স্থানীয় লোকজন রাস্তার কার্পেটিং তুলে ফেলেছেন।
ওই গ্রামের নুর জাহান, আলেয়া বেগম, সেলিম রেজা, আল-আমিনসহ উপস্থিত জনতা বলেন, দুদিন আগে কার্পেটিং করা হয়েছে। আর এখন একটা ধরে টান দিলেই পুরো কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চারা টেনে এসব কার্পেটিং তুলে ফেলছে।
তারা আরো বলেন, বুধবার সাংবাদিকরা রাস্তার কাজে অনিয়মের ছবি তুলতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ঠিকাদারের লোকজন। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের সামনে সাক্ষাৎকার দেয়ায় এবং সাংবাদিকদের করা মামলায় স্বাক্ষী হিসেবে নাম দেয়ার কারণে সাব-ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম স্বশরীরে এসে হুমকি দিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদুল ইসলাম বলেন, সড়কের কাজ নিন্মমানের হওয়ার কারণে স্থানীয় লোকজন বেশ কিছু স্থানে পিচ ঢালাই করা কার্পেটিং তুলে ফেলেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে বহুলী জিসি থেকে কোনাবাড়ি এনএইচডাব্লিউ ভায়া চন্ডিদাসগাঁতী হাট রোড নামে ৩৬৭০ মিটার সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই। দরপত্রের মাধ্যমে ঢাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডলি কনস্ট্রাকশন কাজটি পায়। প্রথমদিকে ৩০ অক্টোবর ২০১৯ পর্যন্ত কাজটি শেষ করার মেয়াদ থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেয়াদ বাড়িয়ে নেয়। বর্তমাণে রাস্তাটির বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ জানান, এর আগেও নিন্মমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগে ওই সড়কটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে আবারও কাজ শুরু করা হয়। বুধবার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা আমরা জানতে পেরে আবারও কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। বিটুমিনসহ অন্যান্য উপকরণ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর কাজ শুরুর অনুমতি দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার খামার পাইকোশা গ্রামে ওই রাস্তাটির নির্মাণ কাজে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পাঁচ সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আমিরুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় এনটিভি প্রতিনিধি শরীফুল ইসলাম ইন্না, এস এ টিভির রহমত আলী, বাংলানিউজের স্বপন চন্দ্র দাস, ডেইলী ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর নজরুল ইসলাম ও যায়যায়দিন পত্রিকার এইচ এম মোকাদ্দেসসহ ১০ গ্রামবাসী আহত হন। এ ঘটনায় বাংলানিউজের স্বপন চন্দ্র দাস বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা