২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিয়ের প্রলোভনে স্বামী পরিত্যাক্তাকে ধর্ষণ, বিচারের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষ্যাপন

বিয়ের প্রলোভনে স্বামী পরিত্যাক্তাকে ধর্ষণ, বিচারের আশ্বাস দিয়ে কালক্ষ্যাপন - ফাইল ছবি

শ্রীনগরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক স্বামী পরিত্যাক্তা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিচারের আশ্বাস দিয়ে ইউপি সদস্য সহ গ্রাম্য মাতব্বরদের বিরুদ্ধে মোটা দাগের অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে কালক্ষেপনের করে ঘটনাটি ধামাচাপা চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় হতাশ হয়ে ওই নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। পরে ওই নারী গত ২৫ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় এসে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত তার মামলা গ্রহণ করেনি।

স্থানীয়রা জানায়, শ্রীনগর উপজেলায় কুকুটিয়া ইউনিয়নের মুসলিম পাড়া গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে সাগর তার দূর সম্পর্কের ফুফাতো বোন স্বামী পরিত্যাক্তা নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরে গত ২ নভেম্বর রাতে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন সকালে ওই নারী বিষয়টি তার আত্মীয় স্বজন ও কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিন্টু, নজরুল ইসলাম, রেখা বেগম, সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিককে জানায়।

গত ৫ নভেম্বর বুধবার স্থানীয় ইউপি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ধর্ষিতার ও স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে ধর্ষিতাকে থানায় না পাঠিয়ে বিচারের আশ্বাষ দেয়। এসময় তারা ধর্ষকের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি হাতিয়ে নেয়।

বাবা হারা ওই নারী বিচার চেয়ে কোন সহায়তা না পেয়ে ঘটনার ৭/৮দিন পর মনের ক্ষোভে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে গত ২৫ নভেম্বর ওই নারী শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

শ্রীনগর থানায় অভিযোগ দায়েরের পর স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে ইউপি সদস্যরা ধর্ষকের কাছ থেকে নেয়া মোবাইল সেটটি ২৬ দিন পর থানা পুলিশের কাছে জমা দেয়।

এ ব্যাপারে কুকুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবুর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার বেশ কিছুদিন পর ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে জানতে পেরে ধর্ষিতাকে দ্রুত থানায় পাঠাতে বলি। তবে ইউপি সদস্যরা কেন ধর্ষিতাকে থানায় না পাঠিয়ে বরং ধর্ষকের কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি হাতিয়ে নিয়েছে তা তাদের সাথে কথা বলে পরে জানাতে পারব।

অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীনগর থানার এস,আই জাকির হোসেন বলেন, ধর্ষিতা থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যরা ঘটনার ২৬ দিন পর ধর্ষকের মোবাইল ফোন সেটটি থানায় জমা দিয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement