২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জাবি ভিসি অপসারণ দাবি : ২১ নভেম্বরের মধ্যে হল খুলে দেয়ার দাবি

-

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ ও হল খুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় মিছিলটি নতুন কলা ভবন সংলগ্ন মুরাদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে পুরাতন রেজিস্ট্রারের সামনে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলননের সংগঠক শোভন রহমানের সঞ্চালনায় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, এখানে যে আন্দোলন হচ্ছে তা বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষার আন্দোলন। প্রশাসন ভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিলে,আবারো সবাই আন্দোলনে আসবে। সরকারের উচিত তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু ও সম্পন্ন করার মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে সচল করা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির কাছে ভিসির দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তার তদন্ত শুরু করতে হবে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে ভিসিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে হবে। তদন্তে ভিসি নির্দোষ প্রমানিত হলে তিনি নিজ পদে বহাল থাকবেন।

তিনি আরো বলেন,আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বাসায় গিয়ে পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে।এতে করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ভিসির বিরুদ্ধে তদন্তে সহায়তার করার সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

আন্দোলনের মুখপাত্র অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন,‘এখনও জাবির বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রনালয় কিংবা ইউজিসি থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়কে অনিরাপদ করে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে,হল ভ্যাকেন্ড করে দিয়েছে। ৫ নভেম্বরের জরুরী সিন্ডিকেটে ৭ জনের মধ্য ২ জন সিন্ডিকেট সদস্য হল ভ্যাকেন্ডের বিরোধিতা করলেও হল ভ্যাকেন্ড করা হয়।সেই সদস্যরা বলছে,ভ্যাকেন্ডের মত পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি হয়নি। প্রশাসনের সন্ত্রাসী হামলা,মামলা দিয়ে আন্দোলন দমন করার পথকে অস্বীকার করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।’

এদিকে আন্দোলনের সার্বিক বিষয়ে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারীরা। এসময় আন্দোলনের সংগঠক আরিফুল ইসলাম অনিক লিখিত বক্তব্যে একুশ তারিখের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে তারা অনতিবিলম্বে ভিসির অপসারণ দাবি করা হয় এবং গত ৫ তারিখে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার জন্য ভিসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রয়ি আইনে ব্যবস্থা কথা বলা হয়। এই সময়ে ভিসি কর্তৃক যেকোন প্রশাসনিক কাজ ও সিলেকশনবোর্ড করা হলে তা প্রতিহত করা হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

 


আরো সংবাদ



premium cement