নবীকে (স.) গালি দিলে কলিজায় আঘাত লাগে : অধ্যক্ষ যাইনুল আবেদীন
- টঙ্গী সংবাদদাতা
- ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২৮
তা’মীরুল মিল্লাত ট্রাস্ট্রের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মো. যাইনুল আবেদীন বলেছেন, নবী করিম (সা.)-কে গালি দিলে আমাদের কলিজায় আঘাত লাগে। আইন করে এ ধরণের দৃষ্টতা প্রদর্শনকারীদের ফাঁসি দিতে হবে। অন্যান্য দেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার শাস্তির বিধান থাকলেও আমাদের মুসলিম প্রধান এই দেশে তা নেই। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জার। দেশের ওলামা মাশায়েখ তথা ধর্মপ্রাণ মানুষের প্রাণের দাবি ব্লাশফেমি আইন প্রণয়ন করে অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
বৃহস্পতিবার টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসায় ‘ভোলায় শাহাদাত বরণকারী নবী প্রেমীদের রূহের মাগফিরাত কামনায় ও আসন্ন জেডিসি পরীক্ষার্থীদের জন্য দোয়া মাহফিলে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্র-শিক্ষক সমন্বয়কারী মো. খায়রুল আনাম।
মাওলানা যাইনুল আবেদীন পবিত্র কুরআন ও হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, নিজের জীবনের চেয়ে এবং নিজের সন্তান-সন্তুতির চেয়ে যিনি নবীকে ভালবাসেন না তিনি প্রকৃত মুমিন নন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সব নবী-রাসুলকে নাম ধরে সম্বোধন করে হুকুম করেছেন। কিন্তু মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের কোথাও ‘ইয়া মুহাম্মদ’ (স.) বলে সম্বোধন করেননি। নবী-রাসুলদের মধ্যে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-কে যারা কটূক্তি করবে তাদের সাথে কোন আপস নয়। মুসলমানদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে এটি পরিকল্পিত কোন উস্কানী কিনা তা খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানান তিনি।
শেষে নবীর (স.) অবমাননাকীর শাস্তির দাবিতে ভোলায় তৌহিদী জনতার মিছিলে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে শাহাদাত বরণকারীদের রূহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় এবং জেডিসি পরীক্ষার্থীদের সফলতা কামনায় দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, এ বছর টঙ্গী তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে ২৭৪ জন শিক্ষার্থী জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা