সিজারের চার মাস পর প্রসুতির পেট থেকে বের হলো গজ ব্যান্ডেজ
- ফরিদপুর সংবাদদাতা
- ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৬:৪৮
ফরিদপুরে সিজারের তিন মাস ১৮দিন পর এক গৃহবধূর পেট থেকে ফের অপারেশন করে বের করা হলো গজ ব্যান্ডেজ। ওই গৃহবধূ বর্তমানে শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে তার দ্বিতীয় অপারেশন সম্পন্ন হয়।
এই গৃহবধূর নাম ফরিদা বেগম। সে সালথা উপজেলার রসুলপুর গ্রামের মাসুদ শেখের স্ত্রী। গৃহবধূর স্বজনেরা জানান, এ বছরের ২৫ মে ওই গৃহবধুর প্রসবজনিত অসুস্থাবস্থায় পশ্চিম খাবাসপুরের সাফা মক্কা ক্লিনিকে এসে ভর্তি হন। ওইদিনই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শ্যামল কুমার বিশ্বাস তার সিজার করেন। একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
এদিকে, ক্লিনিক থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দিলেও শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন না ওই গৃহবধূ। বাড়ী যাওয়ার পর ক্রমেই পেটের ভেতরে ব্যাথা অনুভব হতে থাকে।
সম্প্রতি ওই ব্যাথা প্রকট আকার ধারণ করলে একই এলাকার হ্যাপী হাসপাতাল ক্লিনিকে ভর্তি করেন স্বজনরা। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী আলট্রাসনোগ্রাম করলে পেটের মধ্যে গজ ব্যান্ডেজের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। পরে বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে ফের অপারেশন করে পেট থেকে কয়েক ইঞ্চি পরিমাপের এক টুকরো গজ ব্যান্ডেজ উদ্ধার করা হয়।
অপারেশন পরিচালনাকারী চিকিৎসক ডা. স্বপন কুমার জানান, অসুস্থ এক রোগীর পেট থেকে গজ বের করা হয়েছে, বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে পেটের মধ্যে গজ ব্যান্ডেজ থাকায় ইনফেক্সন হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
এদিকে, অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. শ্যামল কুমার বিশ্বাস এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি। তিনি ওই রোগীর সিজার করেছিলেন কিনা তাও স্মরণে নেই বলে জানান। এছাড়া ওই সাফামক্কা ক্লিনিকের পক্ষ থেকেও কেউ কথা বলতে চাননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা