আখের গুড়ে নেই আখের অস্তিত্ব
- এম. মনিরুজ্জামান, রাজবাড়ী
- ১০ মে ২০১৯, ১৪:২৪, আপডেট: ১০ মে ২০১৯, ১৪:৩৯
রাজবাড়ীতে চক পাউডার, ফিটকিরি, চিনি, বার্নিশ কালার, ময়দা, রং দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ‘খাঁটি’ আখের গুড়। এমনি উপকরণে তৈরী ২শ’ ৫০ মণ ভেজাল গুড় জেলার পাংশা উপজেলার মৈশালা এলাকা থেকে জব্দ করে এর কারিগর তাপস পাল নামে এক ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে ওই ভেজাল গুড়ের কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।
দেখতে গুড়ের মতো দেখালেও আসলে এসবই কৃত্রিম রং, চক পাউডার, ফিটকিরি আর চিনির মিশ্রণ। পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের গুড়ের নামে এসব অখাদ্যই খাওয়াচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
পবিত্র রমজান মাসে আখের গুড়েরর শরবতের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কিছু দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিকে অর্থে ম্যানেজ করে অহরহ আখের ভেজাল গুড় তৈরী করে আসল আখের গুড় হিসেবে অধিক দামে তা বিক্রি করছে।
শুক্রবার রাজবাড়ী জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার ভোক্তা অফিস ভোক্তা আইনের ৪২ ধারায় ওই ভেজাল গুড় ব্যবসায়ীকে জরিমানা এবং গুড় তৈরির মালামাল ধ্বংস করেছে। এ সময় জব্দকৃত ৫ বস্তা চিনি ও ৪ কুলা গুড় স্থানীয় একটি এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো: শরিফুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো: শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে পাংশা থানার ওসি আহসান উল্লাহ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সূর্য্যে কুমার প্রামাণিকসহ প্রশাসনের সহায়তায় পাংশা উপজেলার মৈশালা তাপস পালের ভেজাল গুড়ের কারখানায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ২৫০ মণ ভেজাল গুড়, গুড় তৈরির চক পাউডার, ফিটকিরি, চিনি, বার্নিশ কালার, ময়দা, গুলানো রং জব্দ করে জেলা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এর আগে গত ৩ মে রাজবাড়ী জেলা সদরের ধুঞ্চি এলাকায় মো: খালেক মোল্লাকে ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২ শ’ মণ ভেজাল আখের গুড় ধ্বংস করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। একই সাথে ভেজাল গুড় তৈরীর রঙ, হাইড্রোজ ও ফিটকিরি ও চিনি বিনষ্ট করে ওই কারখানার মালিককে জরিমানা করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা