২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভণ্ডপীরের ভণ্ডামি, ৩ নারীকে ধর্ষণ

ভণ্ডপীরের ভণ্ডামি, ৩ নারীকে ধর্ষণ - সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার আশুলিয়ায় তিন নারী ভক্তমুরিদকে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ডপীর মনির হোসেনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মনিরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় আশুলিয়ার কুরগাঁও আমতলা এলাকার ‘সূর্যভিলা’র পঞ্চম তলার আস্তানা থেকে পুলিশ ভণ্ডপীর মনিরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত মনির হোসেন আশুলিয়ার কুরগাঁও আমতলা এলাকার সূর্যভিলার মৃত সার্জেন্ট (অব:) আবদুর রহিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে নিজেকে পীর পরিচয় দিয়ে কতিপয় দালালের মাধ্যমে নারী-পুরুষদের মুরিদ বানিয়ে তাদের মাধ্যমে মাদক ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত রেখে অবৈধ অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় আশুলিয়ায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। এতে প্রধান আসামি মনির হোসেন ছাড়া অন্যরা হলো মকবুল ও হাসানাত। অভিযোগে এদের ভণ্ডপীরের প্রধান দালাল হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় মামলার এজাহারে ধর্ষিতারা জানান, ১৫-১৬ বছর আগে মনির তার প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে মুরিদ বানায়। এ সুবাদে ভণ্ডপীরের দরবারে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার এক বড় বোনের। সে সময় মনির ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। তারপর মনিরের নজর পড়ে ওই নারীর ছোট বোনের ওপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকেও মুরিদ করে সে। এরপর তাকেও নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল মনির। পরবর্তী সময়ে বড় বোনের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়ের দিকে কুদৃষ্টি দেয় ওই ভণ্ডপীর। তার মাকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে মেয়েকেও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে। এ অপকর্ম চলত ভণ্ডপীরের আস্তানা আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার পাঁচতলা বাড়ির পঞ্চম তলায়। দীর্ঘ দিন ধরে আস্তানা তৈরি করে নিজ বাড়িতেই এমন ভয়ঙ্কর অপকর্ম চালিয়ে আসছিল ভণ্ডপীর মনির।

একপর্যায়ে মনির ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে এ বছরের ২৬ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত আটক করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সে তার খালাকে জানালে তিনি আশুলিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর ভিত্তিতে পুলিশ মনির হোসেনকে গ্রেফতার করে। ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম জিয়া বলেন, গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে ৯(১)/৩০ ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ নারীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহায়তা করার অপরাধসহ ৪২০/৪০৬/২৯৫ পেনালকোড ১৮৬০ সালের প্রতারণা এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অপরাধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনায় আরো দুইজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 
রোববার গভীর রাতে ভণ্ডপীর মনির হোসেনকে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আস্তানা থেকে ওই তিন নারীকেও উদ্ধার করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার : প্রেস সচিব ‘প্রত্যেক ধর্মে শান্তির বাণী আছে, সেই বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে’ ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ আয়কর রিটার্ন জমার সময় আরো এক মাস বাড়লো সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার অতিসত্বর নির্বাচন হওয়া দরকার : আমীর খসরু জেলখানায় হত্যা : শেখ হাসিনা ও জেল সুপারসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন ডিএসইসি সদস্যদের জন্য ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক হিমেল, সদস্যসচিব আরেফিন এমন একটি দেশ চাই যাকে কেউ ভাগ করতে পারবে না : জামায়াত আমির কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় আটক ৫

সকল