সৌদি খেজুর নিয়ে জীবন আলীর স্বপ্ন
- হাসান মাহমুদ রিপন সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ)
- ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:২৬
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়নে কাজিরগাঁও গ্রামের জীবন আলী সৌদি আরবের খেজুর গাছের নার্সারি করে এ গাছ সারা বাংলাদেশের ছড়িয়ে দিতে চান। এ গাছ থেকে সারা দেশে খেজুরের ফলন হলে আমদানি নির্ভরতা কমে আসবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পঞ্চাষোর্ধ জীবন আলী সৌদিতে প্রবাস জীবন কাটিয়েছেন ১৫ বছর। জীবন আলী ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে অনেক পরিশ্রম করলেও বারবারই ছিটকে পড়েছেন। প্রবাস জীবনের শেষ ৫ বছর সৌদি আরবের আল-মাসানায় একটি খেজুরের বাগানে কাজ করতেন তিনি। বাগান থেকেই খেজুর গাছ পরিচর্যায় পারদর্শী হয়ে উঠেন।
জীবন আলী জানান, প্রবাসে থাকাকালে সংসারের ভরণপোষণ দিয়ে তেমন আয় করতে পারেননি। দেশে আসার পরে কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে নিজের বাড়িতে একটি খেজুর গাছের নার্সারি করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে তিনি সৌদি আরব থেকে কিছু খেজুরের বীজ এনে শুরু করেন খেজুর গাছের চারার নার্সারি। খেজুর চারা বিক্রির উপযুক্ত করতেই সময় লেগে যায় ৩ থেকে ৪ বছর। দশ বছর আগে সৌদি থেকে ছুটিতে এসে কয়েকটি বীজ কাজিরগাঁও কবরস্থানে রোপণ করেন। ওই গাছে ফলন দেখে জীবন আলীর খেজুর গাছ নার্সারি করতে আগ্রহী হয়ে উঠেন। আরব দেশের খেজুর সুমিষ্ট ও মাংসালো হওয়ার কারণে এর চাহিদাও বেশি।
জীবন আলী আরো বলেন, খেজুর গাছ রোপণ করা যেমন সময়ের ব্যাপার, তেমনি খরচও অনেক বেশি। সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশে আরব দেশের খেজুর গাছ ছড়িয়ে দিয়ে দেশের খেজুর আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। ফলে দেশের অর্থ দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানো যাবে।
সরেজমিন জীবন আলীর নার্সারিতে দেখা যায়, আরব দেশের দেড় হাজারেরও বেশি বিভিন্ন জাতের খেজুর গাছ রয়েছে তার নার্সারিতে। গত এক বছরে প্রায় ১০টি খেজুরের চারা বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতিটি চারার দুই থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করেন। মরিয়ম, এখলাস, শুক্কারী, ডেকলেট নূর ও আল-খুদরীসহ বিভিন্ন জাতের খেজুর চারা উৎপাদন করেন জীবন আলীর আল-মদিনা খেজুর গাছ নার্সারিতে।
কাজিরগাঁও গ্রামের আহম্মদ আলী জানান, জীবন আলীর উদ্যোগটি খুবই ভালো। তার মতো নার্সারি মালিকরা যদি আরব দেশের খেজুরের চারা উৎপাদন করত। তাহলে আমাদের দেশী খেজুর দিয়ে রমজানসহ বিভিন্ন সময়ে চাহিদা পূরণ করা যেত।
সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিকা আক্তার জানান, এ বছর জীবন আলী উপজেলা বৃক্ষমেলায় অংশ নিয়েছিল। এখানে বেশ কিছু খেজুর চারা বিক্রিও হয়েছে। বাংলাদেশে আরবের খেজুর গাছের নার্সারি নেই বললেই চলে। জীবন আলীর এ উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা