কারাগারে কেমন আছেন ডিআইজি মিজান?
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ জুলাই ২০১৯, ০৮:৫২
পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের সাথে গতকাল প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন তার বডিগার্ড সিদ্দিকুর রহমান।
দুপুরে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কনফারেন্স রুমে কারাকর্মকর্তা ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তাদের দু’জনের মধ্যে সাক্ষাৎ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ডিআইজি মিজান তার বডিগার্ডকে বলেন, ‘মাঝেমধ্যে এসে দেখা করে যাবি, কোনো কিছু লাগলে দিয়ে যাবি’।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আগাম জামিন নিতে গত ৩ জুলাই সোমবার হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডিআইজি মিজানুর রহমান। এ সময় আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে পুলিশ কাস্টডিতে নেয়ার নির্দেশনা দেন। ওই মামলায় শাহবাগ থানা পুলিশ পরদিন মঙ্গলবার তাকে জজকোর্টে হাজির করলে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েস শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আগামী ২৪ জুলাই নির্ধারণ করেছেন আদালত।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুর দেড়টায় ডিআইজি মিজানের সাথে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে প্রবেশ করেন তার বডিগার্ড সিদ্দিকুর রহমান। কারা কর্মকর্তারা ডিআইজি মিজানকে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী হিসেবে প্রধান গেটের দোতলায় কনফারেন্স রুমে নিয়ে যান। সেখানে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলে তাদের সাক্ষাৎ পর্ব। এরপরই সিদ্দিকুর রহমান কারাগার থেকে বের হয়ে যান বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে গতকাল রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি। দেখা সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন রাতে এ প্রতিবেদককে জানান, ডিআইজি মিজানের পরিবারের কোনো সদস্য এ মুহূর্তে ঢাকায় নেই। তারা বিদেশে অবস্থান করায় মিজান কারাগারে আসার পর তার সাথে প্রথম সাক্ষাৎ করেছেন তারই বডিগার্ড সিদ্দিকুর রহমান। তাদের মধ্যে কি আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে ওই সূত্রটি জানায়, তাদের মধ্যে খুব অল্প সময় কথাবার্তা হয়েছে। এ সময় ডিআইজি মিজান সাহেব তার বডিগার্ডকে শুধু বলেছেন, শার্ট প্যান্ট, ট্রাউজার, জুতা দিয়ে যেতে। সাক্ষাৎ শেষে ওই বডিগার্ড কারাগারের ভেতরের ক্যান্টিন থেকে খাবার কেনার জন্য প্রিজনারস ক্যাশে নগদ কিছু টাকা দিয়ে গেছেন। সাথে আপেল কমলাসহ কিছু খাবার বাইরে থেকে কিনে দিয়ে গেছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে দায়িত্বশীল সূত্রটি আরো জানিয়েছে, কারাগারে আসার পরই তাকে প্রথম শ্রেণীর বন্দীর মর্যাদায় চম্পাকলি সেলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চম্পাকলি সেলটি ডিভিশনপ্রাপ্ত সেল হিসেবে পরিচিত। সেখানে তার সাথে আরো সাতজন ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী রয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সাক্ষাতের সময় ডিআইজি মিজান তার বডির্গাডকে বলেছেন, ‘আমার তো এ মুহূর্তে দেশে পরিবারের কোনো সদস্য নাই। সবাই বিদেশে আছেন। তাই আমার কখন কি লাগবে না লাগবে সেটা তুই এসে দেখা করে জেনে যাবি। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দীদের জন্য প্রতি সপ্তাহে একবার স্বজনদের সাক্ষাতের নিয়ম রয়েছে কারাবিধিতে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত বন্দী হিসেবে ডিআইজি মিজানকে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। যেকোনো সময় তাকে কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে স্থানান্তর করা হতে পারে বলে কারা সূত্রে জানা গেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা