২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

দুর্দান্ত সূচনা বাংলাদেশের

দুর্দান্ত সূচনা বাংলাদেশের প্রথম ওভারেই ১৩ - ছবি : সংগৃহীত

যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল জয়ের জন্য ১৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত সূচনা করেছে টাইগার যুবারা। প্রথম ওভারেই তাদের সংগ্রহ ১৩ রান। ওপেনার  তানজিদ হোসেন ৮ আর পারভেজ হোসেন ইমন ৩ রানে ব্যাট করছেন। 

শিরোপা জয়ে মরিয়া জুনিয়র টাইগারদের সাঁড়াশি আক্রমণে মাত্র ১৭৭ রানে অল আউট হয়ে গেছে ভারত। ফলে প্রথমবারের মতো যুববিশ্বকাপ জয় করতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে মাত্র ১৭৮ রান। মাঠে আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান যে জুনিয়র টাইগারকে দেখা গেছে, তাতে করে এই স্কোর করা কষ্টকর ব্যাপার হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বেশ চাপে পড়ে যায় ভারত। একের পর এক উইকেট হারিয়ে তারা বড় সংগ্রহের আশা জলাঞ্জলি দিতে বাধ্য হয়।


বাংলাদেশের পক্ষে অভিষেক দাস ৩টি, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম ২টি করে উইকেট নিয়ে লণ্ডভণ্ড করে দেন ভারতীয় ইনিংস। ভারতের হয় সর্বোচ্চ জয়সাল করেন ৮৮ রান। মূলত তিনিই ভারতের হয়ে হাল ধরেছিলেন। কিন্তু শরিফুল তার উইকেটটি নিয়ে তার সেঞ্চুরি করার স্বপ্ন শেষ করার পাশাপাশি বাংলাদেশকে বেশ ভালোভাবেই খেলায় ফিরিয়ে আনেন।

শেষ পর্যন্ত পেসার শরিফুলের দুর্দান্ত ডেলিভারির সামনে সেঞ্চুরিটা হলো না তার। ১২১ বলে ৮৮ রান করে ফিরে যান তিনি তানজিদ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ভারতের দলীয় রান তখন ১৫৬। পরের বলেই উইকেটে নামা সিদ্ধেস ভিরকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দেন শরিফুল।

এর আগে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা জাসওয়াল ও তিলক ভার্মার ৯৬ রানের বিশাল জুটিতে ভাঙন ধরান তানজিম হাসান সাকিব। তার দেখানো পথে হেঁটে এবার ভারতীয়দের চেপে ধরলেন স্পিনার রাকিবুল হাসান।


তার সিম্পল ডেলিভারিটিতে পড়তেই পারেনি ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়াম গর্গ। আলতো করে তিনি তুলে দেন কভার অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা তানজিম হাসান সাকিবের হাতে। সহজ ক্যাচটা তালুবন্দী করতে মোটেও ভুল করেননি সাকিব। ১১৪ রানে পড়লো ভারতের তৃতীয় উইকেট।

৯ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশের স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ভারতের দুই ব্যাটসম্যান যশস্বি জাসওয়াল এবং তিলক বার্মা। ৯৬ রানের বিশাল জুটি গড়ে বাংলাদেশের সামনে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিলেন তারা দু’জন।

অবশেষে তানজিম হাসান সাকিবের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরলেন শরিফুল ইসলাম। সেই ক্যাচেই ফিরে গেলেন ভারতের হয়ে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা তিলক বার্মা। ৬৫ বলে ৩৮ রান করে ফিরে যান তিলক বার্মা।


শুরুতেই ভারতীয় ওপেনার দিব্যংশ সাক্সেনাকে ফিরিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে দারুণ সূচনা এনে দিয়েছিলেন মিডিয়াম পেসার অভিষেক দাস। ৭ম ওভারের চতুর্থ বলে সাক্সেনাকে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। দলীয় ৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে কঠিন চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত।

কিন্তু এই চাপ সামলে ধীরে ধীরে ঠিকই নিজেদের বের করে আসছিল জাসওয়াল এবং তিলক বার্মা। রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর হলেও উইকেট ধরে রেখেই খেলার চেষ্টা করছিল ভারত। অবশেষে এই জুটিতে ভাঙন ধরালেন তানজিম হাসান সাকিব।

টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার পর বাংলাদেশের হয়ে শুরুটা করেছিলেন দুই নিয়মিত পেসার শরীফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। এ দুই তরুণের আগ্রাসী পেস বোলিংয়ে ব্যাটই চালানোর সুযোগ পাননি ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দুই ওপেনার যশস্বি জাসওয়াল এবং দিব্যংশ সাক্সেনা। রান করতে রীতিমতো সংগ্রামই করতে হয়েছে তাদের।

সাকিব-শরীফুলের আগুনে বোলিংয়ের পূর্ণ ফায়দা নিয়েছেন তিন নম্বরে বোলিং করতে আসা অভিষেক দাস। নিজের প্রথম ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি ওপেনার সাক্সেনাকে।

রানের জন্য হাঁসফাঁশ করতে থাকা সাক্সেনা অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন পয়েন্টে দাঁড়ানো মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে। আউট হওয়ার আগে ১৭ বল খেলে মাত্র ২ রান করতে সক্ষম হয়েছেন সাক্সেনা।

বাংলাদেশ একাদশ : পারভেজ হোসেন, তানজিদ হাসান তামিম, মাহমুদুল হাসান জয়, তৌহিদ হৃদয়, শাহাদাত হোসেন, শামীম হোসেন, আকবর আলী, অভিষেক দাস, রকিবুল হাসান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব।


ভারত একাদশ: যাশাসবি জয়সওয়াল, দিব্যানশ সাক্সেনা, তিলক ভার্মা, ধ্রুব জুরেল, প্রিয়ম গার্গ, সিদ্ধশ বীর, অর্থবা আনকোলেকার, রবি বিষ্ণুই, সুশান্ত মিশ্র, কার্তিক তিয়াগি, আকাশ সিং।


আরো সংবাদ



premium cement