২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

৫৯ বলে ৯১রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন মুমিনুল

৫৯ বলে ৯১রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন মুমিনুল - ছবি : সংগৃহীত

বাঁ-হাতি মোমিনুল হক ও ডান-হাতি মেহেদি হাসানের ঝড়ো ব্যাটিং-এ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে লিগ পর্বের ৪২তম ও শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের পাহাড় গড়েছে ঢাকা প্লাটুন। মুমিনুল হক ৫৯ বলে ৯১ ও মেহেদি ৩৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রান করেন। এবারের আসরে দ্বিতীয়বারের মত ২শ রান করলো ঢাকা। তবে পুরো বিপিএল সপ্তমবার ইনিংসে দু’শ রান হলো।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ওপেনিং স্লটে পরিবর্তন আনে ঢাকা প্লাটুন। নিয়মিত ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের পরিবর্তে তামিম ইকবালের সাথে ইনিংসের শুরুতেই নামেন মুমিনুল। দ্বিতীয় ওভারে ধাক্কা খায় ঢাকা। দক্ষিণ আফ্রিকার রবি ফ্রাইলিঙ্ককে উইকেট ছেড়ে খেলতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন ১ রান করা তামিম। তার ক্যাচটি লুফে নেন আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান রিলি রুশো।

এরপর উইকেটে আসেন অফ-ফর্মে থাকা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান এনামুল। ১০ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ফ্রাইলিঙ্ককের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। এনামুলের মত ব্যর্থ হয়েছেন চার নম্বরে নামা জাকের আলিও। তবে মারমুখী মেজাজেই নিজের ইনিংস শুরু করেছিলেন তিনি। ১টি করে চার-ছক্কায় ৭ বলে ১৪ রান করেন জাকের।

৫ দশমিক ৪ ওভারে দলীয় ৩৫ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন জাকের। তার আউটের পর মুমিনুলের সাথে জুটি বাঁধেন মেহেদি হাসান। টানা দু’টি হাফ সেঞ্চুরির কল্যানে এবারের আসরে পিঞ্চ হিটার হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এ ব্যাটসম্যান আজ ব্যাট হাতে নামেন নামে আজ পাঁচ নম্বরে।

শুরুর ধাক্কাটা সামলাতে গিয়ে ধীরলয়ে খেলতে থাকেন মুমিনুল ও মেহেদি। তবে রানের চাকাটা সচল রেখেছিলেন তারা। ৯ ওভার শেষে ৫৭ রান স্কোরবোর্ডে তুলেন মুমিনুল-মেহেদি। ১৪ ওভার শেষে ছিলো ১২৯ রান। ১৫তম ওভারে প্রথম তিন বলে দু’টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪১তম বলে টি-২০ ক্রিকেটে নবম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুমিনুল। খুলনার পেসার শফিউল ইসলামের ঐ ওভার থেকে ২১ রান পায় ঢাকা।

হাফ-সেঞ্চুরির পর বিধ্বংসী রুপ নেন মুমিনুল। চার-ছক্কায় ফুলঝুড়ি ফুটান তিনি। তাই ১৬তম ওভারেও ১টি করে চার-ছক্কায় দলকে ১৫ রান এনে দেন মুমিনুল। বোলার ছিলেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমির। ১৭তম ওভারেও ১টি করে চার-ছক্কা ছিলো মোমিনুলের। এবার বোলার পেসার শহিদুল ইসলাম।

শফিউলের করা ১৮তম ওভারটি ছক্কা দিয়ে শুরু করেন মেহেদি। চতুর্থ বলে ছক্কা মারেন মোমিনুলও। এ ওভার থেকে আসে ১৯ রান। এতে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগে মুমিনুল। কারন ৫৬ বলে ৮৮ রান শোভা পাচ্ছিলো তার নামের পাশে। তবে হাফ-সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন মেহেদি।

১৯তম ওভারের বাউন্ডারি দিয়ে ৩১তম বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মেহেদি। বাউন্ডারি দিয়ে হাফ-সেঞ্চুরির পরের বলেই আমিরকে ছক্কা মারেন মেহেদি। ওভারের শুরুটা দুর্দান্ত হলেও, শেষটা ভালো হয়নি ঢাকার। কারন ওভারের শেষ ডেলিভারিতে নাভার্স-নাইন্টিতে আউট হন মোমিনুল। আমিরের বলে ফ্রাইলিঙ্ককে ক্যাচ দিয়ে নামের পাশে ৯১ রান রেখে আউট হন মুমিনুল। তার ৫৯ বলের ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিলো। মেহেদির সাথে ৮০ বলে ১৫৩ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। এরমধ্যে ৪৭ বলে মুমিনুল ৮৩ ও মেহেদি ৩৩ বলে ৫৭ রান করেন।

মুমিনুলদের বিদায়ের ওভারে ১৪ রান পায় ঢাকা। শেষ ওভারে মেহেদির একটি করে চার-ছক্কার সাথে শ্রীলংকার থিসারা পেরেরার ১টি বাউন্ডারিতে ১৭ রান পায় ঢাকা। এতে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ঢাকা। শেষ ১১ ওভারে ১৪৮ রান পায় ঢাকা। খুলনার ফ্রাইলিঙ্ক ৩৫ রানে ২ উইকেট নেন।


আরো সংবাদ



premium cement