টাইগারদের হেড কোচ ডোমিঙ্গো
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৫২
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার রাসেল ক্রেগ ডমিঙ্গোকে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কোচের নাম ঘোষণা করেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন।
প্রাথমিকভাবে তার সাথে দুই বছরের চুক্তি হয়েছে। কোচের শর্টলিস্টে থাকাদের মধ্যে কেবল ডোমিঙ্গোই সশরীরে ঢাকায় এসে ইন্টারভিউ দিয়েছেন।
বাকিদের মধ্যে মাইক হেসন, মিকি আর্থার, গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, মাহেলা জয়াবর্ধনের সঙ্গে টেলি কনফারেন্সে কথা হয়েছে। কেউই ঢাকায় আসেননি। শেষ পর্যন্ত সামনে থেকে ইন্টারভিউ দেয়া ডোমিঙ্গোকেই পছন্দ করল বিসিবি।
গত দশ বছরে বাংলাদেশ দলের হেড কোচদের গড়পড়তা বেতন ছিল ১৭-১৮ থেকে ২৮-৩০ হাজার ডলার। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থেকে সর্বশেষ স্টিভ রোডস ২৫-২৮ হাজার ডলারের মধ্যে বেতন পেতেন।
তবে ভারতের কোচ হতে ইন্টারভিউ দিয়ে আসা মাইক হেসনের চাহিদা ৫০ হাজার ডলারের উপর। যেটা বহন করা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) জন্য বলতে গেলে অসম্ভব। অপরদিকে রাসেল ডোমিঙ্গোকে ২৫ হাজার ডলারের আশপাশে বেতনে চুক্তিবদ্ধ করতে পেরেছে বিসিবি।
২০১১ সালের জুনে দক্ষিণ আফ্রিকার হেড কোচ হিসেবে নিয়োগ পান গ্যারি কারস্টেন। সে সময় সহকারী কোচ হন ডোমিঙ্গো। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে কারস্টেনের কাছ থেকে কেবল টি-টোয়েন্টি কোচের দায়িত্ব বুঝে নেন তিনি।
২০১৩ সালের মে মাসে কারস্টেন ঘোষণা দেন জুলাইয়ের শেষের দিকে প্রোটিয়া হেড কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেবেন। তারপরই কারস্টেনের স্থলাভিষিক্ত হন ডোমিঙ্গো।
হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলেন ডোমিঙ্গো। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে তার সঙ্গে চুক্তি আরও দুই বছর বাড়ায় প্রোটিয়ারা। ডোমিঙ্গোর কোচিংয়েই ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রায় চার বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০১৭ সালের আগস্টে এসে ডোমিঙ্গোকে সরিয়ে নতুন হেড কোচ হিসেবে ওটিস গিবসনকে নিয়োগ দেয় প্রোটিয়ারা। তবে ডোমিঙ্গোকে ঠিকই নিজেদের কাছে রেখে দেয় তারা, দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা 'এ' দলের দায়িত্ব। সেখান থেকেই এবার বাংলাদেশ শিবিরে যোগ দিলেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা