শাদাব-আমিরে জয় পাকিস্তানের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৭:০৪
শেষ ভালো যার, সব ভালো তার, এই কথাটা বলতে পারবে পাকিস্তান। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে উড়ে গিয়ে সিরিজ হারলেও ফরম্যাটটা যখন টি-টোয়েন্টি, তখন এই সিরিজে ফেভারিট ছিল পাকিস্তানই। তবে দুর্দান্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম দুই ম্যাচ হেরেই সিরিজ হেরে বসেছিল টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল। শেষ ম্যাচে স্বরুপে ফিরল তারা, ‘অলরাউন্ড’ পারফরম্যান্সে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭ রানে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় নিয়ে সফর শেষ করেছে তারা।
সেঞ্চুরিয়নে ম্যাচটা ছিল পাকিস্তানের জন্য সমন্বিত পারফরম্যান্সের দিন। ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ মোহাম্মদ রিজওয়ানের ২২ বলে ২৬ রানের ইনিংস, তবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল শেষ মুহুর্তে শাদাব খানের ৮ বলে ২২ রানের ক্যামিও। আর বোলিংয়ে উইকেট পেয়েছেন পাঁচজন বোলারের সবাই, সবচেয়ে বেশি ৩টি উইকেট মোহাম্মদ আমিরের, ২৭ রানে।
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাবর তার ‘স্বরুপে’ আসতে সময় নিয়েছিলেন দ্বিতীয় ওভার পর্যন্ত। জুনিয়র ডালাকে টানা চার মেরেছেন দারুণ ফর্মে থাকা এই ব্যাটসম্যান। পরের ওভারেই অবশ্য তিনি ফিরেছেন ক্রিস মরিসের বলে পয়েন্ট ক্যাচ দিয়ে। এরপর চতুর্থ ওভারে সিপামলার কাছ থেকে ফাখার জামান তুলেছেন ২১ রান। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে গিয়ে শেষ হয়েছে ফাখারের ভাল সময়, বিউরান হেন্ডরিকসের বলে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে, তার আগে করেছেন সমান বলে ১৭।
রিজওয়ান ও শোয়েব মালিকের মাঝে জুটি ছিল ৪২ রানের, দুজন ফিরেছেন পরপর দুই ওভারে। সিপামলার প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট রিজওয়ান, মালিক হয়েছেন চার মিনিট নিয়ে টিভি আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্তে রান-আউট। হুসাইন তালাতের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝির চূড়ান্ত হয়েছিল মালিকের, মাঝ ক্রিজে বারকয়েক হ্যাঁ-না করে দুজনই হাজির হয়েছিলেন একই প্রান্তে। শেষ পর্যন্ত ফিরতে হয়েছে মালিককেই। তবে সে যাত্রায় বেঁচেও কিছু করতে পারেননি তালাত, পরের ওভারে ফেলুকয়ায়োর বলে কট-বিহাইন্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি।
দ্রুত কিছু উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা টেনে ধরেছিল পাকিস্তানের লাগাম, তবে ইমাদ ওয়াসিমের ১৩ বলে ১৯ ও আসিফ আলির ২০ বলে ২৫ রানের ইনিংস পরে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে পাকিস্তানের জন্য। দক্ষিণ আফ্রিকাও ছেড়ে কথা বলেনি এরপর, ১৯তম ওভারে হেন্ডরিকস ২ রান দিয়ে নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ ও আমিরের উইকেট। অবশ্য শেষে ঝলক বাকি রেখেছিলেন শাদাব খান, ফেলুকয়ায়োকে তিন ছয়ে সে ওভারে তুলেছেন ২১ রান। ১৪৭ রানে ৯ উইকেট নিয়ে শেষ ওভার শুরু করা পাকিস্তান গেছে ১৬৮ পর্যন্ত।
এরপর পালা পাকিস্তান বোলারদের, দরকার ছিল দ্রুত উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে সেটা দিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, কট-বিহাইন্ড হয়েছেন রিজা হেন্ডরিকস। পরের ওভারে সফল ইমাদ ওয়াসিম, জ্যানমান মালান শিকার তার। উইকেটের চাপের সঙ্গে আফ্রিদি ও ইমাদের দারুণ আঁটসাঁট বোলিংয়ের জবাব দিতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা, পাওয়ারপ্লেতে উঠেছে মাত্র ২৪ রান, যা এ মাঠে সর্বনিম্ন।
এরপর শুধু বড় জুটি খুঁজে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়ে সেটা হতে দেননি পাকিস্তান বোলাররা। ডেভিড মিলার ও ভ্যান ডার ডুসেনের ৩৬ রানের জুটি ভেঙেছে শাদাবের বলে মিসটাইমিংয়ে মিলার ক্যাচ দেওয়ায়। ফাহিমের বলে মিড-অফে ধরা পড়ে শেষ হয়েছে ডুসেনের ৩৫ বলে ৪২ রানের ইনিংস। আর শাদাবকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়েছেন ফেলুকয়ায়ো।
সেঞ্চুরিয়ন ততক্ষণে প্রায় নিশ্চুপ হয়ে গেছে। তাদের মাঝেই প্রাণ ফিরিয়ে আনলেন মরিস, ফাহিমের এক ওভারে ২১ রান তুলে। তবে ওপ্রান্তে কেউ সেরকম সঙ্গটা দিতে পারলেন না তাকে। হেন্ডরিকস, ডালা বা সিপামলা ফিরলেন একে একে। শেষ ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে আফ্রিদিকে টানা দুই ছয় মারলেন মরিস, যার মধ্যে পরেরটি দিয়ে পূর্ণ করলেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি।
সে ওভারের শুরুতেই অবশ্য ক্যাচ তুলেছিলেন, নিজের বলে সেটা ধরতে পারেননি আফ্রিদি। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসেনি পরে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা