২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়ন হচ্ছে আবার লুটপাটও হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

-

ব্যাংকিং খাতের অনিয়মকে একটি কালো দিক উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে গর্ববোধ করলেও ব্যাংকিং খাতের চালচিত্র নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি না। প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে আবার লুটপাটও হচ্ছে। খেলাপি ঋণ আদায়ে সরকার আপসহীন। তবে সরকার ইচ্ছা করলেই প্রক্রিয়াগত কারণে দ্রুতগতিতে খেলাপি ঋণ আদায় করতে পারবে না।
গতকাল শুক্রবার এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি আয়োজিত আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংক কমিশন গঠন নিয়ে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রিয়াজুর রহমান চৌধুরী ও একাউন্টিং অ্যালামনাই সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে ব্যাংকিং খাতের কারসাজির কারণে দেশে আয় বৈষম্য বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক কমিশন গঠন একটি ভালো পদক্ষেপ হতে পারে, যদিও এ বিষয়ে সরকারে নীতিনির্ধারকদের মধ্যে মতদ্বৈধতা আছে। আর্থিক খাতের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য আস্থা, দায়বদ্ধতা ও বিশ্বস্ততা খুবই প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরে আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠন করতে পারাটা হবে সরকারের জন্য একটা সাহসী পদক্ষেপ। গত এক দশকে অর্থনীতিতে সরকারের অনেক সফলতা থাকলেও ব্যর্থতার তালিকাটাও ছোট নয়। বিশেষ করে একের পর এক ঋণ কেলেঙ্কারি, অর্থ আত্মসাৎ, রিজার্ভ চুরি, বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতি, ফারমার্স ব্যাংকের পতন, পিপলস লিজিংয়ের অবসায়ন, খেলাপি ঋণের আকার বৃদ্ধি, পুুঁজি বাজারের কারসাজি, শেয়ার মার্কেট লুট, চিহ্নিত ঋণখেলাপিদের বারবার সুযোগ প্রদান ইত্যাদি কলঙ্কিত ঘটনা আর্থিক খাতকে ব্যাপকভাবে দুর্বল করে ফেলেছে। তাই স্বাধীন ব্যাংক কমিশন গঠন করে আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছাই পারে আর্থিক খাতে লুটতরাজের এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে। এর জন্য প্রয়োজন জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। গ্র্যান্ড ফাইনালে বিজয় নিশান দলকে পরাজিত করে উত্তাল মার্চ দল চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে যথাক্রমে নগদ এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকাসহ ক্রেস্ট, ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement