‘রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলায় স্থানীয় নারীদের ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার’
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০
কক্সবাজার বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত বিশ্ব মানবিকতা দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে প্রধান অতিথি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসি বলেছেন, যুক্তির ওপর দাঁড় করিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর হতাশা দূর করতে হবে। তিনি বলেন, হতাশা যেকোনো মানুষের এবং যেকোনো জনগোষ্ঠীর বড় শত্রু ও বড় ক্ষতির কারণ।
আবু মোর্শেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার আরো বলেন, মানবিকতা বিশ্বে একটি বহুল আলোচিত শব্দ, তবে ২০১৭ সাল হতে রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রেক্ষাপটে এটি আমাদের দেশে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে নারীকর্র্মীদের উপস্থিতি দেখে অনুমান করা যায় কক্সবাজারে কত সংখ্যক নারী মানবিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন। নারীদের এ অবদান বিশ্ববাসীর সামনে তুলে আনার এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। যেকোনো দুর্যোগে নারী ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে তাই নারী কর্মীরাই সবচেয়ে সহজে দুর্যোগে আক্রান্ত মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে; এর প্রমাণ আমরা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তায় নারীদের কাজে পেয়েছি। তাই কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুবিধা ও নিরাপত্তার কথা ভাবতে হবে বলে তিনি জানান। রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত না যাওয়া পর্যন্ত তাদের মধ্যে আশার আলো সৃষ্টি করা প্রতিটি মানবিক সহায়তা কর্মীর দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতায় সিসিএনএফ কোচেয়ার আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্ব মানবিকতা দিবস উদযাপন করে আসছে সিসিএনএফ। তিনি বিশ্ব মানবিকতা দিবস উদযাপনের প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন। তিনি কর্মীদের স্বাস্থ্যবীমা ও যাতায়াত ভাতা প্রদানের যৌক্তিকতার কথাও উপস্থাপন করেন। রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে কাজ করতে গিয়ে গত বছর কক্সবাজারের নারী কর্মী রোজিনা আখতার সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান, অনুষ্ঠানে তাকে স্মরণ করা হয়।
সভার বিশেষ অতিথি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (এনজিও সেল) জিনাত শহিদ পিঙ্কি বলেন, আমরা অনেকেই সরাসরি মানবিক সহায়তায় কাজ করি। কিন্তু নানা অসুবিধার সম্মুখীন হয়েও আমাদের মা বোনেরা তা সহ্য করে মানবিক কাজে অবদান রেখে চলেছেন। নারীদের শুধু মাঠপর্যায়ে কাজ করলে হবে না, পলিসি লেভেলেও তাদের কাজ করতে হবে। নারীকে শুধু প্রেরণাদায়িনী ভাবলে হবে না, নারী ও পুরুষ উভয়ে উভয়কে প্রেরণাদানের মাধ্যমে সমাজকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
এনজিও প্লাটফর্মের ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর মুনমুন গুলশান বলেন, মানবিক আবেদনে কাজ করতে গিয়ে নারীকর্মীরা অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। এগুলো তুলে এনে তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
আইএসসিজি জেন্ডার ও যোগাযোগ বিষয়ক কর্মকর্তা মিস মেরি টুলিমুন্ড বিশ্ব মানবিকতায় নারীদের অবদান সম্পর্র্কে আলোচনা করেন। তিনি কর্মক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিতের কথা গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান।কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা প্রদানে স্থানীয় নারীরা ব্যাপক অবদান রেখে চলছেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কোস্ট ট্রাস্টের জাহাঙ্গীর আলম ও তাহরিমা আফরোজ টুম্পা।