শিল্পকলায় জামদানি পণ্য প্রদর্শনী মেলা
- সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
- ২৪ মে ২০১৯, ০০:২৫
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছে জামদানি পণ্য মেলা। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এবং শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে এ মেলা চলছে।
মেলায় দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকার শাড়ি রয়েছে। প্রতিটি শাড়িতেই জ্যামিতিক এবং নকশায় ফুল ছাড়াও গাছ, মাছ বা লতাপাতা স্থান পেয়েছে। মেলায় আগত তাঁতিরা জানান, জামদানির বৈচিত্র্য অনেক কিন্তু তিনটি মূল নকশা আছে। ‘জাল’ সবচেয়ে জটিল, যেখানে পুরো জমিনজুড়ে কাজ থাকে। ‘তেরচি’তে জ্যামিতিক নকশা থাকে এবং ‘বুটি’তে ফুল ও ঝরনা পুরোটাজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। এর বয়ন-প্রক্রিয়া এবং বাস্তবায়নের ধরন অনন্য। এক কথায়, নকশার ঐশ্বর্য, তাঁতিদের দক্ষতা ও কাঁচামালের সহজলভ্যতার কারণে জামদানি খাঁটি বাংলাদেশী পণ্য হিসেবে বিকশিত হয়েছে।
এ ছাড়া কারুশিল্পীরা তাদের নিপুণ হাতের তৈরি জলপাড়, পান্নাহাজার, করোলা, দুবলাজাল, সাবুরগা, বলিহার, শাপলাফুল, আঙগুরলতা, ময়ূরপ্যাঁচপাড়, বাঘনলি, কলমিলতা, চন্দ্রপাড় ও ঝুমকা ইত্যাদিসহ আরো অনেক বাহারি নামের ও নানাবিদ নকশার জামদানি শাড়ির পসরা সাজিয়েছেন।
জামদানি বংশানুক্রমিক কারুশিল্প। নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ উপজেলার বেশ কিছু গ্রাম এবং সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁও উপজেলার কয়েকটি গ্রামে যুগ যুগ ধরে জামদানি তৈরি হয়ে আসছে। বিসিক জামদানি শিল্পের উন্নয়নে কারুশিল্পীদের একই স্থানে শিল্প স্থাপনে অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন এবং নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ প্রদান, উৎপাদন বৃদ্ধি ও বিপণন সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তা ছাড়া এখানে একটি হাটকর্নার স্থাপিত হয়েছে। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার এ হাটে জামদানি কারুশিল্পীর উৎপাদিত জামদানি পণ্য বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১৬ মে থেকে শুরু হওয়া এ মেলা ২৫ মে পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত।