ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ৬৬ কিমিতে এক বছরে অর্ধশত নিহত
- এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৪৪, আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৫৪
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। গত এক বছরে সড়কের ৬৬ কিলোমিটার এলাকায় ২৬০টি সড়ক দুর্ঘটনায় অর্ধশত নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩ শতাধিক ব্যক্তি। পঙ্গুত্ব বরণ করে দুর্বিসহ জীবন কাটছে অনেকের। সড়ক চারলেনে উন্নীত হওয়ার পরও দুর্ঘটনা কমছেনা। সড়কের মিরসরাইয়ের ধুমঘাট সেতু থেকে সিটি গেইট পর্যন্ত এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সড়কের ইসমাঈল কার্পেট এলাকায় অজ্ঞাতনামা ট্রলির ধাক্কায় মো: আলাউদ্দিন (২১) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
এসব দুর্ঘটনার বড় কারণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে সড়কের ওপর থামানো গাড়িতে চলন্ত গাড়ির ধাক্কা, সহকারীকে দিয়ে গাড়ি চালানো, ফিটনেস বিহীন গাড়ি, নিয়ম মেনে ইউটার্ন ব্যবহার না করা, নেশাগ্রস্থ অবস্থায় গাড়ি চালানো, পাল্লা দেওয়া ও চোখে ঘুম নিয়ে চালানো। হাইওয়ে পুলিশ বলছে, মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে এর মধ্যে মাদকাসক্ত চালক শনাক্ত, সিসি ক্যামেরা লাগানোসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন তাঁরা।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, মিরসরাইয়ের ধুমঘাট সেতু থেকে চট্টগ্রামের সিটিগেট পর্যন্ত মহাসড়কের ৬৬ কিলোমিটার এলাকায় বারবার দুর্ঘটনা ঘটে। এমন স্থান আছে ৮টি। এগুলো হচ্ছে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়া ইউটার্ন,সোনাপাহাড় এলাকা, বিএসআরএম কারখানা এলাকা ও বারইয়ারহাট বাজার। সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট বন্দর সংযোগ সড়ক, পিএইচপি গেট, জিপিএইচ কারখানা এলাকা, গুল আহমদ জুট মিল এলাকা।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা মো: তানবীর আহমেদ বলেন, গত এক বছরে মিরসরাইয়ের বিএসআরএম কারখানা এলাকায় এক বছরে ৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
সীতাকুন্ড উপজেলার কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার মো: সাদেক হাসান বলেন, গত দেড় মাসে সীতাকুন্ডের গুল আহমেদ জুট মিল এলাকায় চারটি দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে মারা যায় তিন ব্যক্তি।
জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপ-পরিদর্শক) মো: সোহেল সরকার বলেন, মিরসরাইয়ে এখন মহাসড়কে দুর্ঘটনার বড় একটি কারণ হচ্ছে রাতে রাস্তার ওপর গাড়ি থামিয়ে রাখা। এতে পেছন থেকে আসা চলন্ত গাড়ির ধাক্কায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। এটি রোধে এরই মধ্যে আমরা মহাসড়কের পাশে থাকা রেস্তোরাঁগুলো রাত ১২টার পর বন্ধ রাখতে বলছি।
এছাড়া সড়কে অবৈধ পার্কিং, পথচারীদের যত্রতত্র রাস্তা পারাপার, অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো এসব মহাসড়কে দুর্ঘটনার মূল কারণ। এসব বিষয়ে চালকদের সচেতন করতে আমরা প্রতিনিয়ত সড়কে মাইকিং করি, সভার আয়োজন করি। সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধ না হলেও আগের তুলনায় কিছুটা কমে আসছে।