ঝুঁকি, শিক্ষার্থীদের পারাপারের একমাত্র ভরসা রেলসেতু
- মোঃ মিজানুর রশিদ, লাকসাম (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ১১ জুলাই ২০১৯, ১৪:০২, আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৯, ১৪:১১
লাকসামে একটি সেতুর অভাবে রেলসেতুর ওপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন শত শত শিক্ষার্থী হাজার হাজার মানুষ চলাচল করছেন। লাকসাম-চাঁদপুর রেললাইনে উপজেলা মুদাফরগঞ্জ ইউনিয়নে কাগৈয়া গ্রামে কার্জন খালের ওপর ওই রেলসেতু দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় ঘটেছে হতাহতের ঘটনা।
ভুক্তভোগীরা জানান, কার্জন খালের ওপর ব্রিজ না থাকায় রেলসেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। ওই স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের। তবে গত ৩৫ বছর ধরে এ দাবি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিকল্প ব্রিজ না থাকায় বাধ্য হয়ে প্রতি বছরে চাঁদা উঠিয়ে বাজার থেকে কাঠের পাটাতন কিনে এনে রেলসেতুর মাঝখানে বসিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রা। রেলসেতুর পাশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রতিদিন স্কুলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় ৮ গ্রামের মানুষকে বিপজ্জনক এ রেলসেতু দিয়ে পারাপার হতে হয়।
জানা গেছে, কার্জন খালের ওপর ব্রিজ না থাকায় বিপজ্জনক রেলসেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় লোকজনকে। শুধু একটি ব্রিজের অভাবে যুগ যুগ ধরে যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় ভাগ্য বদলায়নি ৮টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের। ব্রিজটি নির্মিত হলে একদিকে ওই এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী নিরাপদে আসা যাওয়া করতে পারবে আবার অন্যদিকে পাল্টে যাবে উপজেলা কাগৈয়া, নলুয়া, সালেপুর, শ্রীয়াং খালপাড়, পরানপুর, নোয়াপাড়া, চিতোষী, রেলস্টেশন, নাকঝাটিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার দৃশ্য।
এ ছাড়া এসব এলাকার বাড়বে গ্রামীণ ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার। এ এলাকায় ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে তোরাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়, জালাল মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। কার্জন খালের পশ্চিমে পরানপুর, চিতোষী, নোয়াপাড়াসহ প্রায় ৪টি গ্রামের শতাধিক শিক্ষার্থী ওই রেলসেতু দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হয়।
কাগৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থী কুলসুম আক্তার, খাদিজা আক্তার মিম, সুমাইয়া, মাহবুবু আলম, হৃদয় খান, বিল্লাল হোসেন ও আলামিন বলেন, রেলসেতু দিয়ে স্কুলে পারাপারের সময় ভয়ের মধ্যে থাকি। সেতুর মাঝখানে আসলে ব্রিজের নিচে পানি দেখে পা থরথর কেঁপে উঠে। অনেক সময় সঙ্গে থাকা বই, খাতা, কলম পড়ে যায়। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া গত ৬ মাস আগে রেলসেতু দিয়ে পারাপারে সময় ট্রেন আসতে দেখে লাফিয়ে পানিতে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি। সরকারিভাবে ব্রিজ নির্মাণ হলে আমরা নির্বিঘ্নে সবাই স্কুলে যাতায়াত করতে পারব।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফয়জুল আলম মিয়াজী বলেন, এলাকার মানুষ অনেক কষ্টে যাতায়াত করতে হিমশিম খাচ্ছে। পাশাপাশি গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ সওদাগর বলেন, এ অঞ্চলে মানুষ বিপজ্জনক রেলসেতু দিয়ে যাতায়াত করে আসছে। বিকল্প সেতু না থাকায় মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা