৪ ইলিশ শিকারীকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার রক্ষী বাহিনী
- গোলাম আজম খান, কক্সবাজার (দক্ষিণ)
- ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:৪২
নাফনদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকলেও ইলিশের লোভ সামলাতে না পেরে নদীতে মাছ শিকারে নেমেই ইঞ্জিন নৌকা এবং এক রোহিঙ্গাসহ ৪ জন বাংলাদেশী জেলে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে। বিজিপির হাতে আটক জেলেদের ফেরত আনার জন্য
বিজিবি তৎপরতা চালালেও মিয়ানমার বিষয়টি অস্বীকার করায় জটিল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ১৬ এপ্রিল সকালে সাবরাংয়ের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া পয়েন্ট দিয়ে নাফনদীতে স্থানীয় বাজার পাড়ার আলী উল্লাহর পুত্র আজিম উল্লাহ (মাঝি), কলিম উল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ছৈয়দ আহমদের পুত্র আবুল কালাম ও পুরান বার্মাইয়া রশিদ উল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ হাসান একটি ইঞ্জিন নৌকা নিয়ে ইলিশ শিকারে বের হন। মাছ শিকাররত অবস্থায় মিয়ানমার থেকে স্পিডবোটে করে বিজিপির কয়েকটি দল এসে অস্ত্রের মুখে জেলেদের িআটক করে বাংলাদেশী ইঞ্জিন নৌকা ও জেলেদের ধরে নিয়ে যায়। যা পার্শ্ববর্তী লোকজনের নজরে পড়ে।
নাফনদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সম্প্রতি নদীতে ইলিশের আনা-গোনা জেলেদের নজরে পড়ায় লোভ সামলাতে না পেরে চুরি করে জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নামে। এমতাবস্থায় বিজিপি নৌযান টহল দলের হাতে তারা নৌকাসহ আটক হয়। বিজিপির
কথিত সোর্স মুঠোফোনে অপহৃত জেলেদের মুক্তিপণের টাকা দাবি করে বলে নৌকার মালিক পক্ষ থেকে প্রকাশ হয়।
এই ব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপাধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার, রাত সাড়ে ৭টার দিকে সংবাদকর্মীদের জানান, হাসান নামে এক পুরান রোহিঙ্গা ও ইঞ্জিন নৌকাসহ ৪ জন জেলে নাফ নদীতে সীমানা অতিক্রম করে বিজিপির হাতে আটকের সংবাদ পেয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু বিজিপি কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশী জেলেদের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে নিয়মানুসারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের ইঞ্জিন নৌকাসহ জেলে আটক অস্বীকার করায় মালিক পক্ষ নিরূপায় হয়ে আরো কম মুক্তিপণ দিয়ে বিজিপির হাতে আটকদের ফেরত আনতে বিজিপির সোর্সদের মধ্যে গোপন হিসেব-নিকেশ চলছে বলে একাধিক সুত্র দাবি করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা