মুনীরকে বাঁচাতে একদল তরুণের লড়াই
- ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ২২:৩৪, আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪২
মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষক বাবার বড় ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম মুনীর। বাড়ী চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে। স্বাভাবিক ভাবেই বাবার সাথে সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে গিয়েছিলো প্রবাসে। তার স্বপ্ন ছিলো এক স্বচ্ছল পরিবারের। স্বপ্নভঙ্গ হয় ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে মেডিকেল চেকআপে নন-হজকিন্স বি সেল লিম্ফোমা [ডি এলবিসিএল] ধরা পরে।
তখন থেকেই আজ পর্যন্ত দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসার ব্যয় টানতে গিয়ে হারিয়েছে শেষ সম্বল বাড়ি ভিটেও। মুনীরের ছোট তিন ভাই এখনো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। একজন স্কুল শিক্ষক বাবার সীমিত আয়ের দ্বারা এখন আর ছেলের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসকরা বলেছেন, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করালে মুনীর আবার সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন। চিকিৎসা করাতে দরকার অন্তত ২৩ লাখ টাকা। ইতোমধ্যেই শেষ সম্বল হারানো পরিবারটির পক্ষে এই অর্থযোগান দেওয়া অসম্ভব হয়ে দাড়িয়েছে। তাই এই মুনীরকে বাঁচাতে পারেন সমাজের বিত্তবান ও মহানুভব মানুষেরা। বর্তমানে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর নারায়না মজুমদার হসপিটালে চিকিৎসাধীন আছে মুনীর।
ইতোমধ্যেই মুনীরের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সীতাকুন্ডের একঝাঁক তরুণ-তরুণী। ফেসবুকে একটা গ্রুপ তৈরি করে তারা প্রায় ২০০ জন একত্রিত হয়ে তহবিল সংগ্রহে এর জন্য কাজ করছে। তাদের ফেসবুক গ্রুপ ঘুরে দেখা যায় তারা গোফান্ডমি নামের একটা ওয়েব সাইটে একাউন্ট খুলে প্রায় ২৩০০ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে, এবং এটা চলমান আছে। এছাড়াও বিকাশ এবং স্ট্রিটকালেকশনের মাধ্যমেও অর্থ সংগ্রহ করছে।
বিকাশ : ০১৭৩৮ ১২৫১০৭ (পারসোনাল, রোগীর ভাই), ০১৮১৬ ৬৯১২২৫ (পারসোনাল, রোগীর বাবা)
গোফান্ডমি ক্যম্পেইন : https://www.gofundme.com/Mujahid-Lymphoma- Treatment
ফেসবুক গ্রুপ : https://facebook.com/groups/2414993231852294/
উদ্যোক্তা তরুণদের পক্ষ থেকে সবার কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে, আপনার মানবিক সাহায্য ও সমর্থনে মুজাহিদ পেতে পারে নতুন এক জীবন। তার স্ত্রী ফিরে পাবে স্বামীকে। সুস্থ হয়ে পুনরায় পরিবারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি