২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সংসদের শোক প্রস্তাবে খোকার নাম না বলায় সেলিমার ক্ষোভ

-

একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাবে সাদেক হোসেন খোকার নাম প্রধানমন্ত্রী উচ্চারণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন,‍ সংসদের শোক প্রস্তাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রী সাদেক হোসেন খোকার নাম উচ্চারণ করেননি। এই কি তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা? এই কি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভালোবাসা?

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মৎসজীবী দল কতৃক আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল এর আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহাতাবের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মৎস বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল প্রমুখ বক্তৃতা করেন।

সরকারের সমালোচনা করে সেলিমা বলেন, আ.লীগের ৭১-৭৫ বিগত শানমালের পুরাবৃত্তি ঘটছে। আজকে একইভাবে জনগণকে নির্যাতন করা হচ্ছে। ক্ষমতার জন্য সরকার শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিত করছে। সেখানে মেধাহীন করা হচ্ছে, অস্ত্রের ব্যবহার হচ্ছে। তিনি বলেন, শিক্ষিত সমাজ ধ্বংস করা হচ্ছে, কারণ তারা জানে সমাজের শিক্ষিত লোক  থাকলে প্রতিবাদ আসবেই। তারা প্রতিবাদ সহ্য করতে পারে না। আজকে সমস্ত বাংলাদেশ লোভ-লালসায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে। গুম খুন হত্যা একের পর এক চলছে। কোন বিচার নাই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, একের পর এক নারী ধর্ষণের শিকার হচ্ছে হত্যার শিকার হচ্ছে।শুধুমাত্র নুসরাতের হত্যাকারীদের ধরা হয়েছে। যখন সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই তখন দু একটা ঘটনা দেখানো হচ্ছে মানুষের মনোযোগ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য। তিনি বলেন, আমরা সবকিছু করছি। দুর্নীতির জন্য তারা যে অভিযান চালাচ্ছে সেটাও একটা আইওয়াশ। এইভাবে তারা দুর্নীতি করে একের পর এক দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।

সেলিমা রহমান বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয় তারা ৭ নভেম্বর মানতে চায় না। তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের একটা উজ্জল দিবস, উজ্জ্বল অধ্যায়। জিয়াউর রহমান জনগণের আস্থা নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি করেন। সেই জাতীয়তাবাদী দল এখনো পর্যন্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। জাতীয়তাবাদী দল সৃষ্টি না হলে আমরা এখনো পর্যন্ত এই ভাবে লড়াই করে যেতে পারতাম না। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে সাড়ে তিন বছরে আত্মনির্ভরশীল গড়ে তুলেছিলেন এবং বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ করে নাই তারা এই ৭ নভেম্বর মানতে চায় না। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয়। ৭ নভেম্বর এমন একটা দিন। যেদিন জাতি নতুন করে উজ্জীবিত হয়।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, খালেদা জিয়াকে সরকার মুক্তি দেবে না। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে আরো সংগঠিত হতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো ।


আরো সংবাদ



premium cement
কুড়িগ্রামে পিলখানা হত্যার তদন্ত ও চাকরিতে পূর্ণবহালের দাবি গাজা যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত : হামাস অ্যাডভোকেট সাইফুল হত্যা : সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবীদের প্রতিবাদ সমাবেশ নৌ-পরিবহন উপদেষ্টার সাথে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ হিজবুল্লাহ-ইসরাইল অস্ত্রবিরতি চুক্তিকে স্বাগত বিশ্ব নেতাদের আয়ারল্যান্ডকে ১৫৪ রানে হারিয়ে রেকর্ড গড়ল টাইগ্রেসরা ববিতে চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি মার্কিন দূতাবাস থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির বিষয়ে সব পক্ষের মতামত গ্রহণের সিদ্ধান্ত অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের হাসিনার পালানোর দৃশ্য মনে করতে বললেন ফারুকী ঢাকা ইপিজেড ও সংলগ্ন এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস

সকল