ভোলায় মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে গণধর্ষণ : ৩ জনের যাবজ্জীবন

ভোলায় মুক্তিযোদ্ধার মেয়েকে গণধর্ষণের দায়ে তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভোলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আতোয়ার রহমান। বুধবার বিজ্ঞ আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালত ও ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের জুলাই মাসে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করেন রাজাপুরের ভূমিদস্যু রফিক মাল, ভুট্টু মেম্বার, বাশারসহ আরও পাঁচজন। ধর্ষণের ২ দিন পর ২০১১ সালে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে ভোলা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভোলা থানার পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ওই চার্জশিট গ্রহণ করে রফিক মাল, ভুট্টু মেম্বার, বশার সরদার, বাদশা ও করিরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। চার্জ শুনানির পর দীর্ঘদিন ধরে এ মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। বিবাদী পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন।

অবশেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দীর্ঘ শুনানী শেষে বুধবার বিচারক আতোয়ার রহমান চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ধর্ষিতার পরিবার ও ভোলার মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারা। রাজাপুরের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রাজাপুরের গণধর্ষণের হোতাদের যথাপোযুক্ত বিচার হয়েছে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি গোলাম মোরশেদ কিরন তালুকদার বলেন, আজকের এই রায় ভোলার নির্যাতিত মানুষের জয়। রায়ে রফিক মাল, ভুট্টু মেম্বার, বশার সরদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল দেয়া হয়েছে। এবং অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় বাদশা ও কবিরকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।