২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জামাইকে হাতুড়িপেটা করলেন শ্বশুর

শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্নার হাতুড়ি হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি জামাই মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান - নয়া দিগন্ত

জামাই-শ্বশুর নিঃসন্দেহে একে অপরের অতি আপন জন। বিপদে-আপদে থাকেন একে অপরের পরম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে। ব্যক্তি স্বার্থ ভিন্ন থাকলেও তা জামাই-শ্বশুর মধুর সম্পর্ককে ছাড়িয়ে যেতে পারে না। কিন্তু মধুর সম্পর্ককে ছাড়িয়ে জামাই-শ্বশুর যদি একে অপরের শত্রুতে পরিণত হন, তাহলে! কেবল কি শত্রুতা? নিজের মেয়ের জামাই ও তার ভাইকে রীতিমতো হাতুড়িপেটা করে গুরুতর আহত করেছেন শ্বশুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় জামাইকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

অপরদিকে শ্বশুরের অভিযোগ, জামাই নাকি মাস্তান ভাড়া করে উল্টো তাকে আক্রমণ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায়। অভিযুক্ত শ্বশুরের নাম মোঃ মহিউদ্দিন পান্না। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য। আর শ্বশুরের হাতুড়িপেটায় আহত জামাইয়ের নাম মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান (৩৪)। এই ঘটনায় জামাই আব্দুল্লাহ আল নোমানের ভাই হৃদয়ও (৩০) আহত হয়েছেন।

জানা যায়, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় শ্বশুর সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মহিউদ্দিন পান্না তার মেয়ের জামাই মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান ও তার ভাই হৃদয়কে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করেন। এ ঘটনায় আহত আব্দুল্লাহ আল নোমান ও তার খালাত ভাই মোঃ হৃদয়কে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের বশতলা মানিকখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অপরদিকে নিজের মেয়ে জামাই উল্টো ঢাকা থেকে মাস্তান ভাড়া করে নিয়ে এসে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেন শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না। আহত জামাই আব্দুল্লাহ আল নোমান ওই গ্রামের মোঃ আব্দুল খালেকের ছেলে ও হৃদয় ঢাকার মিরপুর এলাকার মোঃ নুর মোহাম্মাদের ছেলে।

আহত জামাই আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান,‘আমি ব্যাবসা করার কারণে প্রায়ই ঢাকায় অবস্থান করি। এই সুযোগে আমার শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না প্রায় ৬ মাস আগে আমার ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘর দখল করে নেয়। পরে তারা আমার বাড়ির দেয়াল ভাঙ্গার পরিকল্পনা করে।’

তিনি অভিযোগ করেন, খবর পেয়ে আমি ঢাকা থেকে বাড়ি এসে রোববার ভোরে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করার সাথে সাথেই আমার শ্বশুর ও তার ছেলে আসফিসহ ৫ থেকে ৭জন লোক অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় তারা আমাকে ও আমার খালাত ভাই হৃদয়কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদেরকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ বলেন, আহত নোমান ও হৃদয় রোববার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ভর্তি হয়েছে। তাদের মাথায় ও হাতে খুবই গুরুতর যখম রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না বলেন, এটা ‘সম্পূর্ন মিথ্যা’ কথা। আমরা তাদেরকে মারধর করিনি। উল্টো আমাদেরকেই মারধর করার জন্য আমার জামাই নোমান ঢাকা থেকে মাস্তান নিয়ে এসেছে। তারা এসে আমাকে ও আমার ছেলেকে ‘মারধর’ করেছে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানায় উপস্থিত হয়ে ও মুঠোফোনে যোগাযোগের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও ওসিকে পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement