২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আর্থ্রাইটিসের ওষুধে করোনা সুস্থ করছে চীনারা স্পেনে ব্যবহার হচ্ছে এইডসের ওষুধ

আর্থ্রাইটিসের ওষুধে করোনা সুস্থ করছে চীনারা স্পেনে ব্যবহার হচ্ছে এইডসের ওষুধ - সংগৃহীত

চীনারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করছে সুইজারল্যান্ডের রোশ কোম্পানির রিউমেটিক আর্থ্রাইটিসের ওষুধ ‘অ্যাকটেমরা’। এ ওষুধটি ৪ মার্চ চীন সর্বশেষ করোনাভাইরাস চিকিৎসার গাইডলাইনে যোগ করেছে। এ দিকে স্পেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ করেছে এইচআইভি এইডসের ওষুধ প্রয়োগ করে। এর আগে থাইল্যান্ডেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের এইচআইভি এইডসের ওষুধ প্রয়োগ করে সুস্থ করে তুলেছিল। এইচআইভির ওষুধ দিয়ে রোগীর মধ্যে ভাইরাসকে সীমিত করে রাখা যায়। ফলে ভাইরাসের পরিমাণ বাড়ে না। এভাবে কিছুদিন থাকার পর রোগীর দেহে আপনা থেকেই প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে ওঠলে ভাইরাসমুক্ত হয়ে যায় আক্রান্ত ব্যক্তি।

এ দিকে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক জানিয়েছেন, সুইজারল্যান্ডের ওষুধ কোম্পানি রোশ ইতোমধ্যে ২০ লাখ ডলারের ‘অ্যাকটেমরা’ চীনকে দান করেছে। এই ওষুধটি ২০১০ সালে আমেরিকান ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইউএসএফডিএ) অনুমোদন করে আর্থ্রাইটিসের ওষুধ হিসেবে। রোশের অ্যাকটেমরা চীনারা ‘ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়না’ (ইউএসটিসি) হাসপাতালে খুবই মারাত্মক অবস্থার ১৪ রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহার করে তাদের সুস্থ করে তুলেছে বলে চীনা সরকারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়। এই রোগীদের সবার আর্থ্রাইটিসের ইতিহাস ছিল। ইউএসটিসি আরো ১৮৮ রোগীকে বাছাই করেছে অ্যাকটেমরা দিয়ে চিকিৎসার জন্য এবং এদের সবাইকে অর্ধেক ওষুধ দেয়া হবে। অ্যকটেমরা সরাসরি ভাইরাসকে ধ্বংস করতে পারে না কিন্তু ওষুধ প্রয়োগ করা হলে শরীরে প্রচুর ইমিউন সেল (প্রতিরোধকারী কোষ) তৈরি করে এবং একসময় করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে যায়।

এ দিকে স্পেনের সেভিলের ভারজেন ডেল রোসিও হাসপাতালে মিগুয়েল অ্যানজেল ভেনিটেজ নামক একজনকে এইচআইভি এইডসের ওষুধ প্রয়োগ করে সুস্থ করা হয়েছে। ৬২ বছর বয়সী অ্যানজেল ভেনিটেজকে লোপিনাভির-রিটোনাভির (ব্র্যান্ড নাম কেলেট্রা) নামক অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। তিনি ছিলেন স্পেনের প্রথম করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। এইচআইভির এ ওষুধটি ভাইরাসকে শরীরে বংশবৃদ্ধি করতে বাধা প্রদান করে। করোনাভাইরাস মারাত্মক হয়ে উঠে ফুসফুসে দ্রুত বেড়ে উঠলে এবং ফুসফুসের কোষগুলো ধ্বংস করে দিলে। তখনই রোগী মারাত্মক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং শ্বাসকষ্টে ভোগে। স্পেনের মাদ্রিদের রেমন সাজল হাসপাতালে সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান সান্টিয়োগো মোরেনো বলেন, করোনাভাইরাসের সাথে এইচআইভির যথেষ্ট মিল রয়েছে।
এ দিকে বিশ্বব্যাপী চীনের বাইরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা চীনের চেয়ে ১৮ গুণ বেশি বেড়েছে। গত ৪ মার্চ চীনে মাত্র ১২৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। গত ৪ মার্চ চীনের বাইরে দুই হাজার ১০৩ জন আক্রান্ত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নিশ্চিত করেছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইতালিতে।


আরো সংবাদ



premium cement